নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০১ মার্চ, ২০১৯
অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ কারাগার। প্রশ্ন উঠেছে, নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগার ভেঙ্গে ফেলা হলে কোথায় থাকবেন বেগম জিয়া?
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরাতন ঢাকার এখানেই বিশেষ কারাগার করে রাখা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য দুটি বিকল্প স্থানে বেগম জিয়াকে রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। এর মধ্যে একটি কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে। অন্যটি হলো কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি নারী কারাগার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়ার নিরাপত্তা, তার মামলার বিচারকাজ সহ সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করেই তাকে স্থানান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জের কারাগারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রথম পছন্দ বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই, এই কারাগারে একটি ভবন খালি করা হয়েছে। সরকার চাইছে, বেগম জিয়া যেখানে থাকবেন, সেখানেই যেন বিশেষ আদালত বসানো যায়। বর্তমানে নাইকো দুর্নীতির মামলাসহ বেশ ক’টি মামলার বিচার চলছে। এই মামলাগুলোতে, বেগম জিয়াকে হাজির করতে আইন প্রযোগকারী সংস্থার গলদগর্ম হতে হয়। নিরাপত্তার কারণে, তাকে আগের বিশেষ আদালত আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে নেওয়া হয় না। অন্যদিকে কাশিমপুর কারাগার অনেক সুরক্ষিত হলেও বেগম জিয়ার মামলাগুলো এখান থেকে পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
এ কারণেই বেগম জিয়াকে শেষ পর্যন্ত কেরানী গঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।