নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ মার্চ, ২০১৯
সিঙ্গাপুরের চিকিৎসারত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এখন আশংকামুক্ত। তার ভেনটিলেশন খুলে ফেলা হয়েছে। ডাক্তারের ডাকে তিনি সাড়া দিচ্ছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে তার বাইপাস সার্জারি হবে বলে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক থেকে দেড়মাসের মধ্যে ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু দেশে ফিরলেও, কাদেরকে কঠোর নিয়মের মধ্যে চলতে হবে। কাজ এবং ব্যস্ততা কমিয়ে ফেলতে হবে। আর তাই, একই সঙ্গে মন্ত্রিত্ব এবং দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারবেন কিনা এ প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি একজন নতুন সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেবেন? ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে যাওয়ার দুই দিন পর আওযামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাহবুব উল আলম হানিফ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। তার দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন? আগামী অক্টোবর নাগাদ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন হওয়ার কথা।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরাই পরবর্তীতে দলের সাধারণ সম্পাদক হন। আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। তিনি অসুস্থ হওয়ায় বঙ্গবন্ধু প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বেগম সাজেদা চৌধুরীও ৭৫ এর পর প্রথমে ভারপ্রাপ্ত তারপর পূর্ণ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আবদুল জলিলের স্থলাভিষিক্ত হন। পরবর্তীতে তিনি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। মাহবুব উল আলম হানিফের ক্ষেত্রেও কি একই ঘটনা ঘটবে?
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, অসুস্থ, এই কারণে ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হবে না। এটা অবান্তর চিন্তা। আবদুল জলিল দুই দফা বাইপাসের পর দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। নিয়ম কানুনের মধ্যে থাকলে বাইপাসের পর একজন স্বাভাবিক জীবন যাপনই করেন। তাই, ওবায়দুল কাদের এখনই বা আগামী কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন বলেই আওয়ামী লীগের অধিকাংশ শীর্ষ নেতারা মনে করছেন।
তবে, আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগে দল এবং সরকার আলাদা করার চিন্তা চলছে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুব উল আলম হানিফের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে, এই প্রথম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একজন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পেলো, যিনি মন্ত্রী নন। ২০০৯ সালেও প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে পূর্ণকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হানিফ কেমন করেন, তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। হানিফ যদি আগামী দুই-তিন মাস ভালোভাবে কাজ করতে পারেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করতে পারেন, তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগ মন্ত্রী নন, দলে সার্বক্ষণিক সময় দেবে এমন একজনকেই দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বেছে নেবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।