নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ মার্চ, ২০১৯
আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সতর্কবার্তা দিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তারা তাদের নিয়মিত প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আরো জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, ইতিমধ্যেই আইনশৃংখলা বাহিনী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। ঐ নির্বাচনে ছাত্রদল এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে বড় ধরনের গোলযোগ এবং নাশকতার ‘ষড়যন্ত্র’ আছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ছাত্রদল এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বানচালের জন্য একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, ডাকসুর আন্দোলনকে ঢাকায় সঞ্চারিত করার একটি নীলনক্সার খবর গোয়েন্দাদের কাছে আছে বলে জানা গেছে। এজন্য ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নয় ঢাকা জুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।
আগামী ১৭ মার্চ, জাতির পিতার ৯৯তম জন্মবার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় ও সরকারী কর্মসূচী রয়েছে। ঢাকায় এবং টুঙ্গীপাড়ায় ভিভিআইপি যাতায়াত আছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এই দিবসে বিশৃংখলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে।
একই ভাবে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরেও নাশকতার ছক কষা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা তথ্য আছে।
তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আইন প্রয়োগকারী বাহিনী এখন অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক দক্ষ। পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন ‘হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর সারাদেশে নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা জাল নিশ্চিদ্র করা হয়েছে। কাজেই আগামীতেও এসব ষড়যন্ত্র পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কঠোরভাবেই দমন করবে।’
আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, ‘আমরা জানি, বিএনপি এবং জামাত রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের কাছে পরাজিত হয়ে এখন ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে, এটাই তাদের রাজনীতি।’ ঐ নেতা বলেন ‘বিএনপি-জামাত সব সময়ই পেছনের দরজা দিয়ে কিছু করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এখন অনেক দক্ষ।’ তিনি বলেন ‘ষড়যন্ত্র করে একমাত্র তারাই আরো জনবিচ্ছিন্ন হবে।’
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের সময়ও বিএনপি-জামাত সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। এখন নির্বাচনের পর তারা ‘অন্য কিছু’ করতে চাইছে। এটা সফল হবে না।’
তবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মার্চ থেকে পুরো মাস জুড়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে রাজধানী।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।