নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০১৯
আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগ তাদের জাতীয় কাউন্সিল করবে বলে নির্ধারণ করেছে। এই মার্চ থেকেই কাউন্সিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার কারণে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যে কর্মকাণ্ডগুলো ছিল তা থমকে গেছে বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ আস্তে আস্তে তৃনমুলে যেসমস্ত স্থানীয় পর্যায়ে কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে হয়নি, সে সমস্ত কাউন্সিলগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তিনি শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে যে বড় প্রশ্নটি রয়েছে, সেটি হলো আওয়ামী লীগের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল করা। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে হয় না। এই সমস্ত অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব না আসার কারণে দলের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে বলেই আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল ছয় বছর আগে। ক্ষমতাসীন দলের এই যুব সংগঠনের দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়াটা দলের নেতাকর্মীদের জন্য হতাশাজনক বলে একাধিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন। বর্তমানে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, এরা ছয় বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন। একই অবস্থা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগেরও। স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি কাউসার মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথও দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন। সেখানেও দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল হয় না। আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ সংগঠন আওয়ামী মহিলা লীগেরও কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে হয় না। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ দশ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। আপাতত আওয়ামী লীগকে অত্যন্ত শক্তিশালি এবং গোছানো রাজনৈতিক দল মনে হলেও এই অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে না হওয়া আওয়ামী লীগের জন্য হতাশজনক বলেই মনে করছেন তারা। এজন্য এই কাউন্সিলগুলো করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, আমরা যত শীঘ্রই সম্ভব এই অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন যেগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল হয় না। সেখানে কাউন্সিল করার উদ্যোগ নিবো। তবে কবে নাগাদ এই সমস্ত অঙ্গ সংগঠনের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে যে, এই সমস্ত অঙ্গ সংগঠনে যোগ্য নেতৃত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো ভালো চলছে বলে কাউন্সিল করা হচ্ছে না। কিন্তু এরকম যুক্তি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই নাকোচ করে দিয়ে বলেছেন যে, ক্ষমতাসীন অবস্থায় অনেক অঙ্গ সংগঠনই মনে হয় যে শক্তিশালি। কিন্তু দলের মধ্যে যদি গণতন্ত্র চর্চা না হয়, নিয়মিত চর্চা না হয়, তাহলে সেই সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হতে বাধ্য। এইজন্যই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য তাগাদা। শুধুমাত্র আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ বা মহিলা লীগ নয়, একমাত্র ছাত্রলীগ ছাড়া অধিকাংশ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল হচ্ছে না এবং শিগগিরই অধিবেশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল করা উচিত বলে অনেক সিনিয়র নেতা মনে করেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল কবে নাগাদ হবে এবং আদৌ হবে কিনা তা নির্ভর করছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।