নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে উস্কে দেয়ার পেছনে তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে বলে মনে করছে সরকার। ১১ই মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটেছে, তারপর ১২ই মার্চ বিকেলবেলা সব পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন নির্বাচিত ভিপি নূরকে আলিঙ্গন করে এই ঘটনার সমাপ্তি টানেন।
সরকার আশা করেছিল যে, এই ঘটনার মধ্যদিয়েই ডাকসু কেন্দ্রিক উত্তেজনার অবসান ঘটবে। কিন্তু ওইদিন রাতের কিছু তৎপরতা সরকারের নজরে এসেছে এবং ওই তৎপরতার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আবার নতুন মোড় নিয়েছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি মনে করছেন। সরকার মনে করছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তৃতীয় পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, শুধুমাত্র লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নয় সরকারের শরিকসহ বিভিন্ন মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।
সরকারী সূত্রগুলো বলছে, প্রথমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে একটা আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে একটা চাপে ফেলার কৌশল শুরু থেকেই নিয়েছিল বিএনপি এবং ছাত্রদল। তারেক জিয়ার নির্দেশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নির্বাচনী প্রচারণা জোরালোভাবে করেনি। ত্রুটি, বিচ্যুতি নিয়েই তারা কালক্ষেপণ করেছে এবং নির্বাচনের দিন একটা পর্যায়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ছিল এই নির্বাচনের মধ্যদিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা একটা বিস্ফোরক পরিস্থিতি করবে যেটার মাধ্যমে তারা সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলবে এবং সরকারকে একটা চাপে ফেলবে। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। সরকারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে এবং সরকারী বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, তারেক জিয়ার এই পরিকল্পনা ছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছে। এই গোষ্ঠীর মধ্যে শুধু যে বিএনপি এবং তারেক জিয়া ছিল তা নয়। সরকারী সূত্রগুলোর মতে, বাম গণতান্ত্রিক মোর্চার যে ছাত্র সংগঠনগুলো সেই ছাত্র সংগঠনগুলো প্রগতিশীল জোট নামে নির্বাচন করেছিল এবং এই নির্বাচনে ছাত্রজোটটি সরাসরিভাবে বিএনপির সঙ্গে কাজ করেছে। বাম মোর্চা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করছে এবং ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। একাধিক সরকারি মহল মনে করছে যে, লিটন নন্দীর নেতৃত্বে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর যে জোট সেই তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তপ্ত করার জন্য অন্যতম সক্রিয় সংগঠন। তবে তারা কার ইশারায় এটা করছে সে ব্যাপারে সরকার নিশ্চিত নয়। সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে বিএনপি বা তারেক জিয়ার একটি যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে। এই যোগাযোগের সূত্রগুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারি একাধিক সূত্র বলছে, এই নির্বাচনে জামাত শিবিরসহ স্বাধীনতা বিরোধীদেরও উৎসাহ ছিল এবং তাঁরাও এই নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্রে নেমেছিল যেগুলো এখনও শেষ হয়নি। সরকারের কাছে এরকম নিশ্চিত তথ্য আছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে প্যানেল দেয়া হয়েছিল নুর এবং রাশেদের নেতৃত্বে সেই প্যানেলকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা এবং মদদ দিয়েছে জামাত শিবির গোষ্ঠী। ছাত্র শিবির আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এই প্যানেলকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছিল।
নির্বাচনের পরদিন যখন নূর শপথ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অঙ্গিকার করেন। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাখান করার ঘোষণা দেন। ওই দিন রাতেই একটি মহল নূরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে শপথ না নেওয়ার আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং নানা রকম প্রলোভন দেখান। যে মহলগুলো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তার মধ্যে জামাত-শিবিরের একাধিক গোষ্ঠী ছিল বলে সরকারের কাছে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে। তারা চাইছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যেন কোটা সংস্কার আন্দোলন বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মতো যেন একটি পরিস্থিতি তৈরী হয়। সরকারের কাছে এমন তথ্য আছে যে, ১৪ দলের যে শরিকদলগুলো যেমন জাসদ, ওয়ার্কাস পার্টিসহ যারা ৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তারাও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটা অসহিষ্ণু পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য পরোক্ষভাবে ইন্দন যুগিয়েছে তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোকে তারা নির্বাচন বর্জন এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে বলে জানা গেছে। এমনকি এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কোটা সংস্কার আন্দোলনের যে নেতা নুর, তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে বলে তথ্য প্রমান সরকারের কাছে আছে। বিশ্ববিদ্যালেয়ের পরিস্থিতি ঘোলা করে তারা সরকারকে একটি চাপে রাখতে চাচ্ছে। একাধিক সূত্র মনে করছে, যেহেতু তারা মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভূক্ত হননি এবং আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পরেছে, সেজন্য আওয়ামী লীগকে একটা চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ছাত্রলীগকে একঘরে করার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী সমর্থক শিক্ষকদের একটি অংশও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নাজুক করতে চাইছে বলে সরকার মনে করছে।
আআমস আরেফিন সিদ্দিক যখন উপাচার্যের পদ থেকে সরে যেতে হয় এবং ড. আখতারুজ্জামান উপাচার্য হন তখন শিক্ষকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ তৈরী হয়। একটা আরেফিন গ্রুপ আরেকটি আখতারুজ্জামান পন্থী গ্রুপ। আরেফিন গ্রুপ এই নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং তারফলে যেন আখতারুজ্জামান গ্রুপের ভরাডুবি হয় এবং তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃর্তৃত্ব হারায় সেইজন্য বিভিন্ন স্থানে তারা এই নির্বাচন নিয়ে সমলোচনা করছেন। বিভিন্ন স্থানে এই নির্বাচন বাতিল চেয়ে বক্তব্য রাখছেন। ছাত্রদেরও উস্কে দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই সব গুলো ইঙ্গিত, তৎপরতা এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা রকম বক্তব্য বিবৃতি এক করলে বোঝা যায় যে সবগুলো গোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা ক্ষেত্র হিসেবে পরিচালিত করে এমন একটি ক্ষেত্র তৈরী করতে চাইছেন যেখান থেকে সরকার বিবৃত এবং চাপের মুখে পড়ে। সরকার বিরোধী একটি আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়। একাধিক নেতা বলছেন, এরকম চেষ্টা কোটা কিংবা সড়ক আন্দোলনের সময়ও হয়েছিল। কিন্তু তখন যেমন তারা সফল হতে পারেনি, এখনও সফল হতে পারবে না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।