ইনসাইড পলিটিক্স

সংসদে যেতে বিএনপির ৫ শর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার জামিন অথবা প্যারোল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ ৫ দফা দাবি পূরণ করলে বিএনপির নির্বাচিত ছয়জন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণ করবেন এবং সংসদীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। সরকারের সঙ্গে পর্দার আড়ালে গোপন সমঝোতা বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসবকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার কোন প্রশ্নই ওঠে না। তবে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা নিশ্চিত করেছেন, সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তিই তাদের মূল লক্ষ্য।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘এটা পানির মতো পরিস্কার যে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের মতো শক্তি বিএনপির এখন নেই। আইনী প্রক্রিয়ায়ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এখন সুদূর পরাহত। তাই আমরা সরকারের সঙ্গে একটি ন্যূনতম সমঝোতায় যেতে চাইছি। তবে এ সমঝোতা যেন সম্মানীয় হয়, সে ব্যাপারটাই দেখা হচ্ছে।’ ঐ বিএনপি নেতা এটাও নিশ্চিত করেছেন যে, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। এ বৈঠকে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সরকারের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, যিনি এই সপ্তাহে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অন্তত দুটি বৈঠক করেছেন তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে শর্তহীনভাবে আলোচনা করছি। আলোচনার জন্য তারাই উদ্যোগ নিয়েছে, তারাই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা বলেছি, তাদের আগে সংসদে যেতে হবে। তাদের কোন ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকলে সেটা সংসদে তুলতে হবে। তবেই তাদের দাবি-দাওয়া বিবেচনা করা হবে।’

সরকার এবং বিএনপির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে যে ৫টি দাবি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে:

১. বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বা প্যারোলের ব্যবস্থা করে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়া;

২. যেসব বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া। এখানে উল্লেখ্য যে, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল। সে তালিকা অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিতে হবে;

৩. নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় আটক বিএনপির নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মু্ক্তির ব্যবস্থা করা;

৪. বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রদানে বাধা প্রদান না করা, বিএনপি যেন নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নিয়মিত কার্যক্রম নিশ্চিত করা;

৫. বিএনপির যে সকল নেতা মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে আছেন তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন তার ব্যবস্থা করা।

তবে সরকারের একাধিক সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি বা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হয়েছে সংসদে যাওয়া না যাওয়ার বিষয় নিয়ে। সেখানে বিএনপি কিছু দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছে বটে, তবে সেগুলো সরকার বিবেচনা করবে কি করবে না সে ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়টি খালেদা জিয়ার হাতে নেই। এটা আদালতের বিষয়। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেতে হবে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলেই চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপি যে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার কথা বলেছে সেরকম হয়রানিমূলক কোন মামলা বিএনপির নেতাকর্মীর নেই। ঐ নেতা জানিয়েছেন, সংলাপের সময় বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি বিবেচনা করে দেখেছে, মামলাগুলোর কোনটাই রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বা প্রতিহিংসামূলক নয়। এগুলো করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। তাই এই মামলাগুলো যথাযথ তদন্ত ছাড়াই প্রত্যাহার করার কোন সুযোগ নেই।

তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন এমন একজন বিএনপি নেতা বলছেন, সরকার আগের চেয়ে অনেক নমনীয়। সরকার চাইছে যে বিএনপি যেন সংসদে আসে এবং এজন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে সরকার প্রস্তুত। বিএনপির ওই নেতা বলেছেন যে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া অন্যান্য দাবিদাওয়াগুলোর ব্যাপারে সরকার আমাদের সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে এখনও তারা অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে এরকম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, তারেক জিয়াকে যদি আইনে সোপর্দ করা হয় এবং তারেক জিয়া যদি দেশে এসে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে।

তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, কয়েকটি বিদেশী দূতাবাস সরকার এবং বিএনপির মধ্যে একটি সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে চেষ্টা করছে। তারা ধারণা করছে, খুব শিগগিরই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে একটি সমঝোতা হওয়া সম্ভব। সেই সম্ভাবনা হলে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য সাময়িক জামিন পেতে পারেন এবং বিএনপিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে সংসদে আসতে পারে। এক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেনেরও একটি বড় ভূমিকা আছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। ড. কামাল হোসেনও বিএনপিকে সংসদে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং তিনি বিদেশী দূতাবাসগুলোর সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি সূরাহা করার চেষ্টা করছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় থানায় জিডি

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন এ জিডি করেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ২০ বছর যাবৎ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই।’ 

একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই। সেহেতু মন্ত্রী ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।’

জিডিতে শ্রমিক লীগের ওই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে মন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কারণ বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন। এখন সরকারের ক্ষমতা থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে? মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। এই মিথ্যাচারের বক্তব্যগুলো দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। তাই বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য জিডি করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।’

ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না, এটা ঠিক না’

প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের। 

গতকাল সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে তার কক্ষে যান শাজাহান খান। এ সময় তার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি তো কথা শুনলেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তও মানলেন না।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তিরস্কার করেন শাজাহান খানকে।

জানা গেছে, শাজাহান খান এক পর্যায়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে বলেন, রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ছেলে আসিবুর রাজনীতিতে এসেছে। এ জন্যই সে প্রার্থী হয়েছে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপির স্বজনের নির্বাচন না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রতিউত্তরে শাজাহান খান বলেন, অনেকেরই নিকটাত্মীয় রাজনীতিতে আছেন।

ওবায়দুল কাদের এ সময় শাজাহান খানকে বলেন, ‘আপনি কখনোই কোনো কথা শোনেন না। এটা ঠিক না।’ এর জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আপনার সিদ্ধান্ত দেরিতে জানিয়েছেন। আগে জানালে ভালো হতো।’ তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি আমার নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন সিদ্ধান্ত কখন দেবেন, সেটা কি আমাদের জিজ্ঞাসা করে দেবেন?’

শাজাহান খানের উচ্চস্বরে কথা বলা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিস্ময় প্রকাশ করেন। এ নিয়ে বিরক্ত হন ওবায়দুল কাদেরও। তিনি শাজাহান খানের উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে দলের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। এর পরও আপনি সবার সামনে এসব অপ্রিয় কথা কেন বলছেন?

এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কার্যনির্বাহী সংসদের দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মশিউর রহমান হুমায়ুন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী লোটন, বলরাম পোদ্দার এবং শাহজাদা মহিউদ্দিন।

ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই চামেলীকে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
 
এর আগে ওই নারী কাউন্সিলরের একটি নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কয়েকদিন ধরে নগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ঘুরপাক খায়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

আওয়ামী লীগ   ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভুল কৌশলের মাশুল গুনছে আওয়ামী লীগ?

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের অতীতে নেয়া কিছু সিদ্ধান্ত বা ঘটনা এর জন্য দায়ী হতে পারে। উদাহরণ দিয়ে কেউ কেউ বলছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমবার বহিষ্কার করার পর যখন দলে ফিরিয়ে আনা হয় পরে দ্বিতীয়বার তিনি আবার একই ভুল করলেও তাকে সাধারণ ক্ষমা দিয়ে দলে ফেরত আনা হয়। বিষয়টি সে সময় আওয়ামী লীগের অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীই ভালো ভাবে নেয়নি। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মেয়র জাহাঙ্গীরের মতো একাধিক ঘটনা অতীতে আওয়ামী লীগে ঘটেছে। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ধারণা তৈরি হয়েছে যে, প্রথমে দল তাদেরকে বহিষ্কার করলেও পরে তারা সাধারণ ক্ষমা পেয়ে আবার দলে ফেরত আসার সুযোগ পাবেন। আর সে কারণেই দলের নির্দেশনা থাকলেও সেটা অমান্য করে তারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাছাড়া স্থানীয় রাজনীতিও নিয়ন্ত্রণ করে এমপিরা। সেখানে এমপিরাই যখন তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মনোনয়ন দিচ্ছেন তাহলে তো কোন কথাই নাই। অতীতে আওয়ামী লীগ শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিলে দলের চেইন অব কমান্ড এভাবে ভেঙে পড়ত না। আওয়ামী লীগকে এখন ভুল কৌশলের মাশুল গুনছে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, দলীয় নির্দেশনার পরও যেসব এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনরা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, তাদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সময় কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমরা বিশ্বাস করি, দলীয় নির্দেশনা মেনে তারা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন। তবে কেউ যদি শেষ পর্যন্ত দলীয় নির্দেশনা না মানেন তাহলে অবশ্যই দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দলের নিয়মনীতি ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের (এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়দের) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটাই আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়টি থেকে অনুপ্রাণিত হন তাহলে তিনি ভুল করছেন। এরা অচিরেই রাজনীতিতে হারিয়ে যাবে। দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে বা গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে কেউই এখন পর্যন্ত রাজনীতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারেনি। বরং যিনি দলের প্রতি অবিচল থেকেছেন, দলের সিদ্ধান্তকে মান্য করেছেন, দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি তারা ধাপের ধাপে রাজনীতিতে উন্নতি করেছেন দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরেছেন, জনগণের নেতাতে পরিণত হয়েছেন, রাজনীতিতে অমরত্ব লাভ করেছেন। 

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা: কাদের

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা করলে করতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা নেবে’।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হওয়া  উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।


মন্ত্রী-এমপি   প্রার্থিতা প্রত্যাহার   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন