নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০১৯
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকসু নির্বাচিতদের সঙ্গে চা চক্রে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী ডাকসুতে নব নির্বাচিতদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রশ্ন হলো যে, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে কি ডাকসুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক, অচলাবস্থা এবং অনিশ্চয়তার অবসান হবে? প্রধানমন্ত্রী কি বলবেন নবনির্বাচিত ডাকসু নেতৃবৃন্দকে? জানা গেছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নাটকীয়ভাবে এবার ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন। সেই নুরুল হক নুর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। একাধিক সূত্র বলছে যে, এই বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নির্বাচিত দুইজনসহ ছাত্রলীগের সকলেই অংশগ্রহণ করবেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকসু নির্বাচতদের কাছে তাদের করণীয় এবং প্রত্যাশার কথা তুলে ধরবেন। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হয়েছে। এখানে কিছু কিছু যে সমস্যা হয়েছিল তা মিটিয়ে ফেলার জন্য যে মান অভিমান, তা কাটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিবাবক হিসেবে এই ছাত্র নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দিবেন। ছাত্রদের সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলবেন। সংশ্লিষ্টসূত্র গুলো বলছে,প্রধানমন্ত্রী ডাকসু নেতৃবৃন্দকে পাঁচটি পরামর্শ দিবেন।
প্রথমত, নবনির্বাচিত ডাকসু নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাবেন। শিক্ষার্থীদের যে সমস্যা এবং শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ডাকসুকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে তিনি অনুরোধ করবেন।
দ্বিতীয়ত, ডাকসুকে জাতীয় রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে দূরে রেখে শিক্ষার্থীদের বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিবেন।
তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী ডাকসু নির্বাচনে যে বিতর্ক হয়েছিল সেই বিতর্ক এবং অনভিপ্রেত যে ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটেছিল সেগুলোকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিবেন।
চতুর্থত, তিনি সকল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সহমর্মিতার ভিত্তিতে শিক্ষা কার্যক্রম স্বত:স্ফূর্তভাবে এগিয়ে নেওয়া, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার জন্য নির্দেশনা দিবেন।
সর্বশেষ তিনি ডাকসু নেতৃবৃন্দকে আগামী দিনের বাংলাদেশের নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য নিজেদের তৈরী করার অনুরোধ করবেন।
একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণ নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরকে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু নুর সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কাজেই তার আমন্ত্রনে আমি সাড়া দিবোই। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকসু নির্বাচনের পরে যে বিভিন্ন মহল ভোট বাতিলের দাবিতে অনশনসহ নানা রকম কর্মসূচী গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সবকিছুরই অবসান ঘটবে। রবি কিংবা সোমবারের মধ্যে নতুন ডাকসু তাদের কার্যক্রম শুরু করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।