নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ১৬ মার্চ, ২০১৯
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন দলের সকল পর্যায়ের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। আজ শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন শাহাব উদ্দিন।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন। দীর্ঘদিন যাবৎ দলের সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। একইসঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া সব দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করেছি। আমাকে এ ধরনের দায়িত্ব দেয়ার জন্য চেয়ারপারসনসহ দলের সব নেতার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও লিখেছেন, বর্তমানে শারীরিক ও পারিবারিক কারণে আমার পক্ষে আর এই দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। শনিবার ১৬ মার্চ থেকে সব পর্যায়ের পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।’
পদত্যাগপত্রের একটি অনুলিপি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহাব উদ্দীনের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিএনপির অন্তর্কোন্দল ধীরে ধীরে প্রকাশ্য হচ্ছে এবং ভাঙন প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।