নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০১৯
আগামী ২৩ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন নতুন মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ শুরু করেছে। তবে কারা নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বা মন্ত্রিসভায় কী ধরনের রদবদল হতে পারে সে সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কোন কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মন্ত্রিসভার রদবদল বা সম্প্রসারণ সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে মন্ত্রিসভায় কয়েকজন নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। সেজন্যই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে ঐ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যুক্ত হলে কেউ বাদ যাবেন কি না—এমন তথ্য তাদের কাছে নেই বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ৭ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রথম রদবদল হতে যাচ্ছে ২৩ মার্চ। ঐদিন মন্ত্রিসভায় কয়েকজন নতুন মুখ যুক্ত হতে পারেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, যেসব হেভিওয়েটদের ৭ জানুয়ারির মন্ত্রিসভায় বাদ দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে দু’একজন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলেও হতে পারেন। তবে তারা কারা তা এখনও নিশ্চিত নয়। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ও মোহাম্মদ নাসিম—তিনজনের অন্তত একজনের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও সরকারের অন্য একটি সূত্র হেভিওয়েটদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে। তারা বলেছেন, মন্ত্রিসভায় হেভিওয়েটদের অন্তর্ভুক্তির কোন সম্ভাবনা নেই। তবে গতবারের মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়া ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মন্ত্রিসভায় ফেরার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আরও কয়েকজন নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। মন্ত্রিসভায় তিন থেকে চারজন নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ঐ সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। ঐ সূত্র মতে, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন—জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হকের মধ্য থেকে যে কোন এক বা দুইজন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। নারী সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে এক বা দুইজন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে ১৪ দলের শরিকদের মধ্য থেকে কেউ মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন কি না তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলছে, ১৪ দলের মধ্যে যে অসন্তোষ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য ১৪ দলের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। ঐ সূত্র বলছে, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক বা দিলীপ বড়ুয়ার মধ্য থেকে যে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অন্য একটি মহল মনে করছে, সিনিয়রদের বাদ দিয়ে শিরিন আক্তার বা ফজলে হোসেন বাদশার মতো অপেক্ষাকৃত তরুণদের মধ্য থেকে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
তবে মন্ত্রিসভায় কারা অন্তর্ভুক্ত হবেন সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শেখ হাসিনা। একটি সূত্র জানিয়েছে, চার থেকে পাঁচজন নতুন মুখ মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠিত হলেও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখনও কোন পূর্ণমন্ত্রী নেই এবং একটি (মহিলা ও শিশু বিষয়ক) মন্ত্রণালয়ে কোন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই। মন্ত্রিসভার রদবদল এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরকারী দল আভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।