নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ২৩ মার্চ, ২০১৯
আবারো নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে। পার্টির কো-চেয়ারম্যান এরশাদের সহোদর জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে গত বৃহস্পতিবার অব্যাহতি দেয়া নিয়ে এ টানাপোড়েন শুরু হয়। একাধিক সূত্র জানায়, জিএম কাদেরকে ঐ পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য নেপথ্যে সব কলকাঠি নাড়েন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। বেগম রওশন এরশাদের কূটকৌশলেই সরে যেতে হলো জিএম কাদেরকে। এ ঘটনা নিয়ে তৃণমূলেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এরশাদের নিজ নির্বাচনী এলাকা খোদ রংপুরেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ কী কারণে ঐ পদ থেকে জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন তার সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেননি। তবে পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে যে পর্যায়ে তাতে করে পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবেই তার পক্ষে সম্ভব নয়। পার্টির একক নিয়ন্ত্রণভার বেগম রওশন এরশাদের হাতে রাখার জন্যই জিএম কাদেরকে সরিয়ে দেয়া।
সূত্রগুলো জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই এবিষয় নিয়ে জাপার হাইকমান্ডে টাগঅবওয়ার চলছিল। এরশাদের সহোদর জিএম কাদেরকে পার্টির সর্বোময় ক্ষমতার অধিকারী করা হলে বিষয়টি সহজভাবে মেনে নেননি রওশন এরশাদ এবং তাঁর অনুসারীরা। সেই থেকেই জিএম কাদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য তারা নানা সময় ফন্দিফিকির আটেন। গুঞ্জন রয়েছে, জিএম কাদেরকে ঐ পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার শর্তে বেগম রওশন এরশাদকে গেল সপ্তাহে এরশাদের জম্মদিনের অনুষ্ঠানে নেয়া হয়। হোটেল ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত জম্মদিনের অনুষ্ঠানে বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টিকে নতুন করে সুসংগঠিত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঐদিনই শোনা যায় এরশারপত্নী পুনরায় পার্টির ক্ষমতার অধিকারিণী হচ্ছেন। তবে রওশনপন্থীরা জিএম কাদেরকে পার্টির পদ থেকে অব্যাহতি দেবার বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছেন। তাদের দাবী জিএম কাদের জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা। সংসদে তাঁকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হয়। তাছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদ বেশ অসুস্থ সংসদে তাঁর বিষয়গুলোও জিএম কাদেরকে দেখতে হয় সেজন্যই পার্টির কার্যক্রম থেকে জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়গুলোর সাথে কোনভাবেই একমত নন জিএম কাদের অনুসারীরা। তাদের মতে, জিএম কাদেরের ক্ষমতা খর্ব করতেই এটা করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির সিনিয়র এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতীয় পার্টি মূলত খেলাধুলার পার্টি। এসব নতুন কিছু নয়। তার মতে, জাতীয় পার্টিতে যাই হোক না কেন সবকিছুর পেছনে একটি রহস্য নিহিত থাকে। জিএম কাদেরকে সরিয়ে দেয়ার পেছনেও কোন না রহস্য আছে বলে তিনি মনে করেন।
তবে তার দাবী, এরশাদের জীবদ্দশায় এরশাদই সবকিছু দেখভাল করবেন। অন্য কারো কর্তৃত্ব তিনি কখনোই মানতে পারেন না এবং পারবেনও না। সূত্রগুলো জানায়, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে জাপায় নতুন সংকট তৈরী হবে। আর এ সংকট জাপাকে দ্বিধা-বিভক্ত করার পথ তৈরী করবে বলে একাধিক নেতার অভিমত।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।