নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০১৯
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এবার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ ছাড়তে হচ্ছে এরশাদের সহোদর জিএম কাদেরকে। আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই জাতীয় পার্টির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। জাপা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তর থেকেই জিএম কাদেরকে সকল পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবী ওঠে। তাছাড়া এরশাদেরও ইচ্ছে জিএম কাদের আপাতত সবকিছু থেকে দূরে থাকুক। জিএম কাদেরকে ঐ পদ থেকে সরিয়ে উপনেতার পদে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এবং সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। তবে উপনেতা পদে রওশনপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত ফখরুল ইমামও আসতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সূত্রগুলো বলছে, জিএম কাদের এবং রওশন এরশাদ দ্বন্দ্বে আপাতত বলির পাঠা হচ্ছেন জিএম কাদের। পুরো বিষয়গুলো নিয়ে এতদিন বেগম রওশন এরশাদ চুপ থাকলেও হঠাৎ করে তিনি জাপার রাজনীতিতে নড়েচড়ে বসেছেন। একাধিক জাপা নেতা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বেগম রওশন এরশাদ জাপা চেয়ারম্যানের উপর প্রভাব বিস্তার করছেন। রওশনপন্থী হিসেবে যারা পরিচিত সেসব নেতা এতদিন চুপ থাকলেও সবাই আবার হঠাৎ করে সরব হয়েছেন। বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে নিয়মিত বৈঠকও করছেন তারা।
জাপার উদীয়মান এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, অদৃশ্য সুতোর টানে সবকিছু হচ্ছে। জাপার নিয়ন্ত্রণ আসলেই কার হাতে এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ঐ প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার মতে, এরশাদ নিজ ইচ্ছেয় আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। কারণ এরশাদ এবং জাপার সামনে অনেকগুলো উচুঁ দেয়াল বিদ্যমান। এসব দেয়াল টপকিয়ে রাজনীতি করা দুস্কর।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।