নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০১৯
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। একাধিক সরকারী দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণভবনে যান রওশন এরশাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে ৩০ মিনিটের মতো কথাবার্তা বলেন। এর পরেই জাপায় নাটক শুরু হয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, এরশাদ বা জিএম কাদেরের চেয়ে রওশন এরশাদই প্রধানমন্ত্রীর বেশি আস্থাভাজন। এরশাদ যেহেতু অসুস্থ, তাই জিএম কাদেরই কার্যত জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ছিলেন। জিএম কাদেরের বেশ কিছু ভূমিকা ও কার্যক্রম সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন। এদিকে, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যেভাব রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সংসদ ও সংসদের বাইরে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, সরকার চাইছে সেই একই ধারায় জাতীয় পার্টি কার্যক্রম পরিচালনা করুক।
এজন্য, এ বৈঠকের পরই জিএম কাদেরকে সরিয়ে দিয়ে রওশন এরশাদকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে। যেহেতু এরশাদ এখন অসুস্থ এবং দলের কোনকিছু দেখভাল করতে পারছেন না। কাজেই এ পরিবর্তনের ফলে রওশন এরশাদই জাপার দায়িত্ব নিলেন। তবে জাতীয় পার্টির এই পটপরিবর্তনে সরকারের ভূমিকাই মুখ্য বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।