নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তেমন কোন সাফল্য না থাকলেও তারা ভিপি নূরতে বেশ খুশি। তাদের ধারণা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রভাব ও ক্ষমতা খর্ব হওয়ায় ক্যাম্পাসে নিজেদের অস্তিত্ব কিছুটা জানান দিতে পারবে ছাত্রদল। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রদলের ট্রাম্পকার্ড হচ্ছেন ভিপি নূর।
একাধিক সূত্র জানান, ভিপি নুর ডাকসুর দায়িত্বভার নেয়ার পর ছাত্রদলের হল শাখার বেশ কয়েকজন নেতা দফায়-দফায় বৈঠক করেছেন নূরের সাথে। ছাত্রদল নূরের কাছে আর্জি জানিয়েছে, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের যে কোন ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পাশে থাকবে তারা। বিশেষ করে বিভিন্ন হল থেকে বহিরাগত উচ্ছেদের যে উদ্যোগ ডাকসু ভিপি নিয়েছেন তার প্রতি শতভাগ সমর্থন রয়েছে ছাত্রদলের।
ছাত্রদলের নেতারা বাংলা ইনসাইডারকে জানান, বিভিন্ন হলে বহিরাগত যারা আছেন অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। হলের প্রভাব থেকে যদি বহিরাগতদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয় তাতে করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদল নেতাদের মতে, গত কয়েক বছর ছাত্রদল কোনভাবেই ঢাবি ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। যে কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও ছাত্রদলের পতাকাতলে টানতে পারেনি সংগঠনটি। তবে এবার ঢাবি ক্যাম্পাসে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ছাত্রদল। আর তা ভিপি নূরের সমর্থন নিয়েই তা করবে তারা। রোববার মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের নেতারা জড়ো হয়ে ভিপি নূরকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
এদিকে, আগামী মাস থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে নতুন কমিটি গঠনের কাজ শুরু করবে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি। এরপর কাউন্সিল হবে ঢাবি শাখার। ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানান, বাম সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়েই ক্যাম্পাসে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আগামী ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল যাতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।