নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০১৯
ব্যর্থতার অভিযোগে দলের কো-চেয়ারম্যান পদ এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকে জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দেয়ায় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের উপর বিশেষ নাখোশ হয়েছেন জিএম কাদের। নিজের ব্যর্থতার দায় কোনভাবেই মানতে নারাজ তিনি। বাংলা ইনসাইডারকে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রেসকে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছে যা সর্বস্ব মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, আমি যতদিন কো-চেয়ারম্যান কিংবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলাম ততদিন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়েছে। তৃণমমূলের নেতা-কর্মীদের সাথেও আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ছিল। বরঞ্চ এখানে সাহেব-বিবির খেলা হয়েছে। অদৃশ্য সুতোর টানে সবকিছু করা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে চীরতরে ধ্বংস করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল সেটাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবার আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সংসদে বিরোধী দল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখবো। কিন্তু সেটা কি বিরোধী দল এখন করতে পারছে? তিনি বলেন, আজ্ঞাবহ বিরোধী দল দিয়ে জনগণের কোন কল্যাণ সাধন সম্ভব হয়। বিরোধী দলকে ওয়াচ ডগের ভূমিকা পালন করতে হবে-আর এটার জন্য হাঁত-পা খুলে দিতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বর্ষীয়ান এবং ক্লিন ইমেজের অধিকারী এ সংসদ সদস্য বলেন, একটি দল যদি সংসদে স্বতন্ত্র ভূমিকা রাখতে না পারে সেখানে শত কোটি টাকা খরচ করে সাংসদদের বক্তব্য দেয়ার প্রয়োজন কী? তবে বর্তমান বিরোধী দলকে আরো সোচ্চার এবং কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান একাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় এ সংসদ সদস্য। অনেকটা ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠে জিএম কাদের বলেন, রাজনীতি বলতে যা শিখেছি এখন দেখছি আসলে রাজনীতিটা তা নয়। এখন রাজনীতি কূটকৌশলে ভরপুর।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।