ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ কি জনগনের ভোটাধিকার হরণ করছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩০ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। আওয়ামী লীগই এই অঞ্চলের জনগনের ভোটাধিকারের জন্য সবচেয়ে বেশি আন্দোলন করেছে। দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই তদানীন্তন পাকিস্তানে আন্দোলন হয়েছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে উনসত্তরের গণআন্দোলন; এই দীর্ঘ আন্দোলনের পথ পরিক্রমার মূল বিষয় ছিল জনগনের স্বাধীকার এবং জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সত্তরের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশের জনগন তাদের মতামত প্রকাশ করেছিল। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পর দেশের মানুষ অনেক অধিকারের মত ভোটাধিকারও হারায়। ভোট হয়ে যায় একটা প্রহসন। জিয়াউর রহমানের হ্যা না ভোট বা উনসত্তরের নির্বাচন, সবই ছিল সাজানো ছঁকে বাধা এক প্রহসন। এসব নির্বাচনে জনগনের অধিকারের কোন প্রতিফলন ঘটেনি। সীমাহীন কারচুপি ও প্রশাসনের ইচ্ছেমতো বানানো ফলাফল জনগনের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ১৯৮১ সালে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফিরে এসে জনগনের ভোটের অধিকার পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তিনি আন্দোলন শুরু করেন, আমার ভোট আমি দিবো। যাকে খুশি তাকে দিবো। ৮১ সাল থেকে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের মূল বক্তব্যই ছিল জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। গণতান্ত্রিক অধিকারকে উর্ধে তুলে ধরা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। জনগন দীর্ঘদিন পর স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়। জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। একানব্বই নির্বাচনে জামাতের হাত ধরে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপির শাষনামলে মাগুড়া বা মিরপুরের উপনির্বাচন পরিণত হয় প্রহসনে। আবার ভোটের অধিকার লুন্ঠিত হয়। শুরু হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের উত্তাল আন্দোলনের মুখে বিএনপির পতন ঘটে এবং ছিয়ানব্বইয়ে নতুন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগই প্রথম সরকার যারা নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ছেড়ে দেয় ২০০১ সালে। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসে। বিএনপি ক্ষমতায় এসে যে কয়টা নির্বাচন করেছে, সবগুলো নির্বাচন ছিল প্রহসন এবং ভোটাধিকার হরণের নতুন নতুন কৌশলে ভরপুর। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিএনপি জামাত জোট ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধান বিচারপতি বয়স বাড়িয়ে সংবিধান সংশোধন করে, যেন তাদের পছন্দের বিচারপতি কে এম হাসান তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারেন। তারপরে শুরু হয় ভোটের অধিকারের জন্য নতুন করে আন্দোলন। এবার শুধু আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো এই দাবি নয়। সঙ্গে সঙ্গে আসে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের দাবি, ভূয়া ভোটার বাতিলের দাাবি, স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনেরও দাবি। এই প্রেক্ষাপটে আসে ওয়ান ইলেভেন। এই ওয়ান ওয়ান ইলেভেনের সরকার জনগনের অনেকগুলো দাবি পূরণ করে। যেমন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রবর্তন করা হয়। ফলে দেড়কোটি ভুয়া ভোটার বাদ পড়ে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাকে স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপ দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের ক্ষমতায় এসেছে দুই মাসের বেশি সময় হলো। এই সময়ে প্রশ্ন এসেছে, আওয়ামী লীগই কি ভোটের অধিকার হরণ করছে? ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা নিয়ে অনেক কথা আছে। সে কথা এখন বাদই দিলাম। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন যেভাবে বা যে প্রক্রিয়ায় হচ্ছে তাতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট। যার মধ্যে:
১. জনগন ভোট দেওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে এবং জনগন মনে করছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কোন লাভ নেই।
২. অধিকাংশ উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি, ব্যালট বাক্স ভরানো, প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি দৃশ্যমান।
৩. নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও অদৃশ্যভাবে ভোটের বাক্স ভরে যাচ্ছে।
৪. দেখা যাচ্ছে প্রশসন নির্বাচনী ফলাফলের উপর হস্তক্ষেপ করছে।

এই চারটি কারণে মানুষের মধ্যে একটা বিশ্বাস জমে গেছে মানুষ যে ভোট দিবে। সেই ভোটের প্রতিফলন নির্বাচনের মাধ্যমে ঘটবে না। প্রশ্ন হচ্ছে এরজন্য আওয়ামী লীগ কতটা দায়ী? আওয়ামী লীগই জনগনের ভোটের অধিকার নষ্ট করলো নাকি ভোটের অধিকার হরণের অন্যকোন ষড়যন্ত্র পর্দার আড়ালে চলছে? ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকেই যদি আমরা শুরু করি, সেখানে কখনোই মনে হয়নি বিএনপি জামাত জোট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য নির্বাচন করছে। বরং মনে হয়েছে যেকোন মূল্যে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল। তারা মনোনয়ন বাছাই নিয়ে নানা রকম নাটক করেছে। এমনভাবে মনোনয়ন দিয়েছে যে, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি নিজেরাই একাধিক গ্রুপ উপগ্রুপ সৃষ্টি করে বিভক্তি তৈরী করেছে। তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা মূলক কোন কর্মকান্ডেই অংশগ্রহণ করেনি। জনগনের কাছে ভোট চাওয়া বা জনগনের কাছে কর্মসূচী নিয়ে যাওয়ার মত কোন লক্ষন বা উৎসাহ তাদের মধ্যে ছিল না। তাহলে প্রশ্ন জাগতেই পারে বিএনপি কি চেয়েছিল? বিএনপি কি চেয়েছিল এই নির্বাচনে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরী করতে যাতে জনগন ভোটের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে? এই ৩০শে ডিসেম্বরের পর বিএনপি জামাত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করলো। একটা নির্বাচন যখন অংশগ্রহনমূলক হয় না। একটা নির্বাচনে যখন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি থাকে না তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই নির্বাচনের উপর জনগন আস্থা হারিয়ে ফেলে। কাজেই উপজেলা নির্বাচনে যে ভোটারদের অনাগ্রহ এবং ভোটারদের যে অনীহা, এটার একটা বড় কারণ হলো নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হচ্ছে না। যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি নেই, সেই নির্বাচন নিয়ে জনগনের আগ্রহ কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিএনপি এসে যখন ‘হ্যা না’ ভোট করেছিল, সেটা ছিল বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। বাংলাদেশে ভোটাধিকার হরণের প্রথম প্রক্রিয়া। সেই ধারা আবার ফিরিয়ে আনার জন্য কি জামাত বিএনপি কৌশলে এটা করছে? সেটা যদি করেও, তারপরও আওয়ামী লীগ দায় এড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের একটা বিপুল জনগোষ্ঠীর সমর্থন রয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোটার রয়েছে। আওয়ামী লীগ কেন তার ভোটারদের নির্বাচনমুখী করতে পারছে না? ভোটারদের কেন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারছে না? সেই ব্যার্থতার দায় আওয়ামী লীগের নিতেই হবে। আওয়ামী লীগ যদি দেশে ভোটের অধিকার রক্ষা করতে চায় এবং জনগনের মতাধিকারের প্রয়োগ ভোটাধিকারের মাধ্যমে ফোটাতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি আরো বাড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা ভোটার কিংবা কর্মী সমর্থক, তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার, সেটা করবে। সেটা যদি না করতে পারে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ, তাহলে ভোটাধিকার হরণের দায় আওয়ামী লীগের উপরও এসে পড়বে।      

 

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একটি কুচক্রি মহল বরাবরের মতো এখনো দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাদের এ অপতৎপরতা সফল হবে না। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) গুলশানের এসকট প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত Leo Tito L. Ausan Jr. রচিত " Sleepless in Dhaka and Other Poems" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তারা বিচার বিশ্লেষণ করছে কিভাবে ছোট এই দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সম্প্রতি মার্কিন একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী নানক বলেন,  বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিদেশীদের মাঝে যে আগ্রহ আছে ফিলিপাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব লিও অসাম এর কবিতার বই প্রকাশ তার প্রমাণ। তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার সম্পর্কে জানতে। সেখানে সব কিছু দেখে তার যে উপলব্ধি তা তিনি কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কেও জেনেছেন এবং তা তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলাদেশে মাত্র একবছর সময়কালে আহসান মঞ্জিলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঢাকায় রিক্সা দেখে একে ঢাকার ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জর্জ হ্যারিসন এবং পন্ডিত রবি শংকরসহ যারা বিশ্ববাসীর সমর্থন পেতে সাহায্য করেছেন তাদেরকেও তিনি কবিতার মাধ্যমে স্মরণ করেছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়েও কবিতা লিখেছেন। আমার ভালো লেগেছে রাষ্ট্রদূত লিও পাট থেকে তৈরি স্যুট পড়েছেন এবং কবিতার ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। আপনার জানেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। 

অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের জলবায়ু পরিবর্তন কমিশনের মন্ত্রী রবার্ট ই. এ. বোরজে, বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভুইয়া, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ বাংলাদেশের মিডিয়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার সমাবেশ স্থগিত করল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ সমাবেশ করার কথা ছিল দলটির।

সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

তিনি বলেন, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ পুলিশ অনুমতি দেয়নি। যার কারণে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।

এর আগে দুপুরে তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।


শান্তি সমাবেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পলক ম্যাজিক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন। 

জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালককে এবার সিংড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী করেছিলেন। শুধু প্রার্থী করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, তার বাড়িতে বৈঠক করেছিলেন এবং বৈঠকে তিনি তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব যেন বিজয়ী হতে পারে সেজন্য নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। অন্য কোন প্রার্থীরা যেন নির্বাচনে প্রার্থী না হয় সে জন্য এক প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছিল। সবকিছু মিলিয়ে তরুণ জুনাইদ আহমেদ পলকের রাজনীতির আকাশে কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পলক প্রমাণ করলেন যে, বয়সে তরুণ হলেও তিনি রাজনীতির মাঠে একজন পরিপক্ব খেলোয়াড়। তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করেছেন এবং ম্যাজিক দেখিয়ে রাজনীতিতে তার যাত্রাপথকে শুধু মসৃণ করেননি, তিনি যে পরিপক্ক রাজনীতিবিদ হিসেবে বিকাশমান তা প্রমাণ করেছেন। 

পলকের শ্যালক যখন একজন প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় যুক্ত হয়ে যায়, তখন একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তিনি বেশ কিছু দূরদর্শী বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রথমত তিনি যারা ওই অপহরণ ঘটনার সময় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে চান, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানান এবং তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত এবং তারা তার ভাই, চাচা, মামা, খালা, শ্যালক যেই হোক না কেন, তারা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই বক্তব্যটি তার নড়বড়ে অবস্থানকে কিছুটা সবল করে এবং সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে যে, পলকের মধ্যে এখনও রাজনৈতিক বোধ আছে। তিনি এখনও বিবেকহীন ক্ষমতা লিপ্সু হয়ে পড়েননি। কিন্তু তখনও অনেক চমক অপেক্ষা ছিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছিল রীতিমতো চমক এবং এমন এক সময় জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক এই সিদ্ধান্ত নেন যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এই ঘোষণার পর অনেক হেভিওয়েট নেতা যখন তাদের স্বজনদের প্রার্থী করার জন্য শেষ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, নানারকম অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন ঠিক সেই সময় জুনাইদ আহমেদ পলক অন্যরকম একটি অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখান এবং তার শ্যালক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এটির মাধ্যমে পলক যে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের আরও আস্থাভাজন হলেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু নীতি নির্ধারকদের আস্থাভাজন হননি পলক, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি যে রাজনৈতিক ভাবে দূরদর্শী, পরিপক্ক এবং সুদূর প্রসারী চিন্তা করেন তা প্রমাণ করেছেন।

স্থানীয় পর্যায়ের নেতা জুনাইদ আহমেদ পলক এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। রাজনীতিতে মাঝে মাঝে একটি সিদ্ধান্ত মানুষকে অমরত্ব দেয়। আবার একটি সিদ্ধান্ত তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ফেলে। পলকের এই সিদ্ধান্ত তাকে রাজনীতিতে একটি উজ্জ্বল আসন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে তিনবারের প্রতিমন্ত্রী থাকার পর যখন অনেকে তার রহস্য খোঁজার চেষ্টা করছিলেন তখন জুনাইদ আহমেদ পলক এই ম্যাজিক দেখিয়ে প্রমাণ করলেন রাজনীতিতে তিনি পরিপক্ক। তিন বার প্রতিমন্ত্রী থাকার জন্য তিনি যথেষ্ট যোগ্য। 


জুনাইদ আহমেদ পলক   নাটোর   তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন