নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ২৭ মার্চ, ২০১৯
ছোট ভাই জিএম কাদেরকে আপাতত অপেক্ষা করতে বললেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। এরশাদ জিএম কাদেরকে আশ্বস্ত করে বললেন, ‘অপেক্ষা কর সব ঠিক হয়ে যাবে।’ যদিও এর প্রত্যুত্তরে জিএম কাদের কোন মন্তব্য করেননি ।
গেল সপ্তাহে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় জিএম কাদেরকে। দলীয় ব্যর্থতার অভিযোগে পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ছোট ভাইকে এ দুটি পদ থেকে সরিয়ে দেন। এনিয়ে জিএম কাদের এখনো কোন মুখ খোলেননি। তবে জিএম কাদেরের শুভাকাঙ্খীরা বলছেন, জিএম কাদেরের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তা পার্টির জন্য মঙ্গলজনক নয়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে জিএম কাদের একমাত্র ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবীদ। আওয়ামী লীগ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন জাপার সিনিয়র এ নেতা। জাতীয় পার্টির ভেতরেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। জাপা চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে জিএম কাদেরই ছিলেন জাপার ভরসা। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল জিএম কাদেরের রাজনৈতিক উত্থানে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে ওঠে।
জাপার একাধিক নেতা বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, জাতীয় পার্টিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। পার্টির জন্মের পর থেকে অদ্যাবধি যা হয়েছে তা অবাক করার মত কিছুই হয়নি। পার্টি চেয়ারম্যান যা করেন তা তিনি নিজের স্বার্থেই করেন। নিজের স্বার্থ ঠিক রাখতে পার্টিকে বলি দিতে কিংবা নেতাদের কুরবানী দিতে কখনোই তিনি কুণ্ঠাবোধ করেন না। দেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে এমন উত্থান-পতনের ঘটনা ঘটেনি। তাদের দাবী, এখন যা কিছুই হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় স্যার (এরশাদ) রাতে দিনে যেভাবে মন্ত্রী বদল করেছেন এখনও তিনি সে কাজটিই করে যাচ্ছেন। তার মতে, এটি তার একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। জাপার প্রেসিডিয়াম ঐ সদস্য দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘অপেক্ষা করেন দেখেন স্যার (এরশাদ) এই জিএম কাদেরকেই পার্টির চেয়ারম্যান করবেন!’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।