নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০১৯
আগামীকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলের রোডম্যাপ তৈরী করা হবে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আগামী অক্টোবরে জাতীয় কাউন্সিল করার অভিপ্রায়ে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং মহানগরী কাউন্সিলের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হতে পারে কাল কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। এছাড়াও জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা নির্বাচনের পর সারাদেশের সাংগঠনিক পরিস্থিতি, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েও কথা হতে পারে কালকের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, জাতীয় কাউন্সিলের আগে তৃণমুলের সম্মেলনে এবার উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া কমিটি গ্রহণ করা হবে না। বরং প্রতিটি পর্যায়ে কাউন্সিলর দের ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি করাকে উৎসাহিত করা হবে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রেও স্থানীয় পর্যায়ের কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে করার বিধান রয়েছে। কিন্তু দলে অন্তকলহ এবং বিরোধ এড়াতে সমঝোতার মাধ্যমেই কমিটি গঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু সমঝোতা ফর্মূলায় অন্য বিপদ দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন কমিটি মন্ত্রী এমপিদের পকেট কমিটি হিসেবে কাজ করছে। মন্ত্রী এমপি এবং দলের প্রভাবশালী নেতারা তাদের একান্ত অনুগত এবং পছন্দের ব্যক্তিদের কমিটির সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক করেন। আবার কোথাও মন্ত্রী, এমপিরাই কমিটির সর্বে সর্বা হয়ে থাকেন। এর কিছু ব্যতিক্রম আছে, কিছু কিছু জেলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দলের ত্যাগী এবং পরীক্ষিতদের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করেন। এসব এলাকায় আবার স্থানীয় এমপি এবং মন্ত্রীদের রোষানলে পরেন। কমিটিকে অকার্যকর করে মন্ত্রী এমপিরা বিকল্প আওয়ামী লীগ গড়ে তোলেন। এই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনের মাধ্যমেই তৃণমূলেরের নেতৃত্ব নির্ধারনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার একাধিক বক্তৃতায় বাকশালের নির্বাচন পদ্ধতি প্রসংগে কথা বলেছেন। বাকশালে প্রতি স্তরে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচনের বিধান রাখা হয়েছিল। দলের ভেতর গণতন্ত্রের বিকাশ এবং গণতন্ত্র চর্চার জন্য স্থানীয় নেতৃত্বে নির্বাচনে ব্যালট প্রয়োজন বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা।
আওয়ামী লীগ সভাপতিও এখন এই পদ্ধতি যেতে চান বলে তার একাধিক ঘনিষ্ঠ নেতাকে বলেছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, তৃণমূলের নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধাতি হলে, কর্মীরা সাংগঠনিক কাজে মনোযোগী হবেন, দলের কর্মীদের সংগে ভালো ব্যবহার করবেন এবং সংগঠনের প্রতি দায়িত্বশীল হবেন। এর মাধ্যমে তৃণমুল থেকে আগামীর নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে বলেও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন। দেশে যেহেতু এখন রাজনীতিতে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তির পথে। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটি বড় অংশ রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন, সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ আগামী দিনের জন্য সংগঠনকে প্রস্তুত করতে চাইছে। একারনেই তৃনমূল থেকে জনপ্রিয় নেতৃত্ব উঠে আসার পথ করে দেয়া হবে কাউন্সিলকে সামনে রেখে। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেছেন ‘আওয়ামী লীগ এখন অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। এই অবস্থান ধরে রাখার জন্য আমাদের স্থানীয় পর্যায়ের কমিটি গুলোকে আরো কার্যকর এবং অংশ গ্রহণমূলক করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।’ তিনি বলেন ‘নতুন নেতৃত্ব যেন তৃনমূল থেকে উঠে আসে সেজন্য আমরা অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন