নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৪ এপ্রিল, ২০১৯
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। সবাই এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চায়। বিশেষ করে ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে আওয়ামী লীগার হবার প্রবণতা বেড়েছে। বিএনপি, জামাত এবং অন্যদল থেকেও আওয়ামী লীগে যোগদানে ইচ্ছুকের সংখ্যা কম নয়। মূলত; নানা সুযোগ-সুবিধা পাবার আশায় এই যোগদানের জোয়ার বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি, আওয়ামী লীগে নতুনদের নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন ‘এখন অনেকেই কিছু পাবার আশায় আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে। এরা দলে এসে অপকর্ম করে আওয়ামী লীগের বদনাম করছে।’ এরপর থেকে কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগে যোগদান বন্ধ করা হয়েছে। ২০০৮ এর পর যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে তাদেরও ঠিকুজী খোঁজা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো জানা গেছে, ২০০৮ এর পর যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে এবং এখন যারা আওয়ামী লীগে যোগদানে আগ্রহী তাদের সম্পর্কে ১০টি তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে। এই ১০ তথ্যের ভিত্তিতেই ঐ ব্যক্তি আওয়ামী লীগ করতে পারবেন কিনা তা নির্ধারিত হবে। ১০ তথ্যের ভিত্তিতেই ঐ ব্যক্তি আওয়ামী লীগ করতে পারবেন কিনা তা নির্ধারিত হবে। ১০ তথ্যের উত্তর যদি আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শের পরপন্থী হয় তাহলে তাকে দলে রাখা হবে না বা নেয়া হবে না। যে ১০ তথ্য যাচাই করে একজনকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নেয়া হবে, সে গুলো হলো;
১. ২০০৮ সালের আগে রাজনীতি করতেন কিনা, করলে কোন দল? তিনি যদি বিএনপি বা জামাতের সংগে যুক্ত হন সেক্ষেত্রে তিনি আওয়ামী লীগের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে বিশেষ বিবেচনায় দলীয় সভাপতি শর্তটি শিথিল করতে পারেন। যেমন; বিএনপির ইনাম আহমেদ চৌধুরী সভাপতির বিশেষ বিবেচনায় আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
২. যদি সরাসরি রাজনীতি না করেন, সেক্ষেত্রে তিনি যদি ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী হন, সেক্ষেত্রে তিনি ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী কোন সংগঠনের সংগে জড়িত ছিলেন কিনা। থাকলে কোনটি? তিনি যদি বিএনপি বা জামাত ঘরানার কোন পেশাজীবী বা ব্যবসায়ীর সংগে জড়িত থাকেন তাহলে তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হবার যোগ্যতা হারাবেন।
৩. তিনি কোন দুর্নীতির মামলা/মাদকের মামলায় দণ্ডিত কিনা?
৪. তিনি নৈতিক স্খলন জনিত অপরাধে দন্ডিত হয়েছিলেন কিনা? (বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে)
৫. তিনি অগ্নিসন্ত্রাস বা সহিংসতার মামলার আসামী কিনা? (বিশেষত ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের অগ্নি সন্ত্রাসের মামলায়)
৬. তিনি ফেসবুক বা অন্যকোন সোশাল মিডিয়াতে একটিভ কিনা, যদি একটিভ থাকেন সেক্ষেত্রে তার একাউন্ট পর্যবেক্ষন করতে হবে।
৭. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম অন্তভুক্ত কিনা?
৮. তার বিরুদ্ধে কোন টেন্ডার বাজি/অর্থ আত্মসাৎ/নারী নির্যাতনের অভিযোগ আছে কিনা, থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
৯. তার পরিবারের কেউ যেমন; বাবা, মা, স্ত্রী/স্বামী, ভাই, বোন বা নিকটাত্মীয় রাজনীতির সংগে জড়িত কিনা, জড়িত থাকলে তার বিস্তারিত নেয়া হবে।
১০.যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত পরিবারের নিকটাত্মীয়রা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদের জন্য বিবেচিত হবেন না।
এই বিষয় গুলো বিবেচনা করে যদি দেখা যায় তার ভূমিকা ‘সন্তোষজনক সেক্ষেত্রে কেবল একজনকে আওয়ামী লীগের সদস্য করা হবে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।