নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৫ এপ্রিল, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান জিয়া পরিবারের সদস্যরা। সাক্ষাতের আবেদনের একটি খসড়াও তারা চুড়ান্ত করেছেন। খসড়াটি তাদের ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে সংশোধন করা হচ্ছে। খসড়া চুড়ান্ত হলে; তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। বেগম জিয়ার একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘আজ অথবা আগামীকাল অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে আমরা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো। এই সাক্ষাতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানবিক আবেদনের বিষয়টি চুড়ান্ত করা হবে।’ ঐ আত্মীয় এটাও বলেছেন যে,‘ তিনি (বেগম জিয়া) আগে এরকম আবেদনের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মুক্তি। কিন্তু তার শারিরীক অবস্থা এখন সত্যিই খারাপ, একারণেই আমরা জোর করে এরকম আবেদনে তাকে রাজী করাচ্ছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আবেদনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেগম জিয়ার দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে ‘এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপনারা দুই নেত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দুজনই নির্যাতন ভোগ করেছেন। তাই আপনার আন্দোলনের সহযাত্রীর প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী কামনা করছি।’ আবেদনে বলা হয়েছে,‘বেগম জিয়া দীর্ঘদিন নির্জন কারাবাসের কারণে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পরেছেন। তিনি এখন হাটাচলা করতে পারছেন না। তার হাত ক্রমশ: অবশ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্ষুধা মন্দায় ভুগছেন। তার সুচিকিৎসা এখন অতীব প্রয়োজন। কারান্তরীন অবস্থায় তার সুচিকিৎসা সম্ভব নয় বিধায় তার সাময়িক মুক্তি প্রয়োজন।’ জানা গেছে চিঠিতে ‘হয়রানি মূলক এবং মিথ্যা মামলায় বন্দী’ সংক্রান্ত কিছু কথা ছিল, কিন্তু বেগম জিয়ার একজন আইনজীবী মানবিক আবেদন সংক্রান্ত চিঠিতে এ ধরনের বক্তব্য না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে বিতর্ক তৈরি হতে পারে এমন কোনো বক্তব্য যেন আবেদনে না থাকে সেটাও নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন ঐ আইনজীবী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মানবিক আবেদনটি শুধু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেওয়া হবে নাকি পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এ নিয়ে মতবিরোধ ছিল। কিন্তু বিএনপি মহাসচিবই পরামর্শ দিয়েছেন ‘ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ’ হলে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির গুরুত্ব বুঝবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর একটি মানবিক হৃদয় আছে। তিনি যদি সত্যি বোঝেন যে, বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ তাহলে হয়ত বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’ বেগম জিয়ার একজন আত্মীয়ও মনে করছেন, ‘বেগম জিয়ার অসুস্থতার গভীরতা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হয়ত পৌঁছাচ্ছে না। আমরা যতদূর জানি প্রধানমন্ত্রীর একটি মানবিক হৃদয় আছে, তিনি মানুষের কষ্ট বোঝেন। এজন্যই বিষয়টি সরাসরি তাঁর গোচরে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ অথবা বেগম জিয়ার মুক্তির আবেদনের মূল পরিকল্টনাটি বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর। তিনি বেগম জিয়ার প্যারোলের ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করছেন। তিনি মনে করছেন, বেগম জিয়ার প্যারোল দিতে পারে একজনই, তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।