নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০১৯
তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তিনমাস পূর্ণ হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তিনমাস কেমন করলো নতুন মন্ত্রিসভা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, নতুন মন্ত্রিসভা গত তিনমাসে রুটিন কাজেও সময় ব্যয় করছে। সামনে যে সমস্যা এসেছে সেই সমস্যা গুলো সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে, মন্ত্রীদের মধ্যে আপৎকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রবণতাই ছিলো বেশী। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা খুব একটা দেখা যায়নি। আবার অন্যদিকে, বর্তমান মন্ত্রী সভা ৯০ দিনে ক্লিন ইমেজ বজায় রেখেছে। দুর্নীতি বা অন্যায় হস্তক্ষেপের কোন অভিযোগ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উঠেনি। দুএকটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ মন্ত্রী বাক-সংযমী ছিলেন। এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক বড় অর্জন। ৯০ দিনে মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করে সেরা ৫ মন্ত্রী নির্বাচন করেছে বাংলা ইনসাইডার। তবে এই মূল্যায়নে নেই প্রধানমন্ত্রী। কারণ, তার দূরদৃষ্টি বিচক্ষনতা এবং কর্ম নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত এবং সব বিতর্কের উর্ধ্বে।
১. ডা: দীপু মনি (শিক্ষামন্ত্রী) : দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে নাজুক মন্ত্রনালয় গুলোর একটি ছিলো শিক্ষামন্ত্রনালয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মানেই ছিলো প্রশ্নপত্র ফাঁস। নানা কেলেংকারী। বিগত মন্ত্রী অস্থির হতেন, কথা বলতেন কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারতেন না। যদিও তার আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিলো না। ডা: দীপু মনি দায়িত্ব নিয়েই এস এস সি পরীক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখে পরেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা গোটা জাতির জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখানেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন অভিযোগ উঠেনি। এই নব্বই দিনে এম, পিওর দাবীতে বেসরকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পরেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই একটি আন্দোলন নিস্ক্রিয় করলেন একজন মন্ত্রী। এজন্য বাংলা ইনসাইডারের বিবেচনায় সেরা পাঁচের অন্যতম ডা: দীপু মনি।
২. আসাদুজ্জামান খান কামাল: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো জটিল এবং একটি স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন কোন বিতর্ক ছাড়াই। মাদক চোরাকারবারিদের আর্তসর্মপন করানো, দেশে সর্বহারার নামে সন্ত্রাসীদের আত্মসর্মপনের উদ্যোগ তাকে প্রশংসিত করেছে। তাছাড়া চকবাজার এবং বনানীর অগ্নিকান্ডে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফায়ার সার্ভিসের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে তার কৌশলী অবস্থান ছিলো বিচক্ষন।
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (প্রতিমন্ত্রী নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়); আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের তরুন মন্ত্রীদের অন্যতম। দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি নদী উদ্ধারে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে প্রভাবশালীদের তদ্বির, ভয় উপেক্ষা করে যেভাবে নদী উদ্বারের কাজ চলছে, তা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এজন্য তিনি বাংলা ইনসাইডারের বিবেচনায় সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছেন।
৪. ড: হাছান মাহমুদ, তথ্যমন্ত্রী; তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সংগে একটি সেতুবন্ধন তৈরীর কাজ করছেন। বিশেষ করে বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন প্রচারের নিষেধাজ্ঞা কঠোর ভাবে আরোপের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।
৫.শ.ম রেজাউল করিম: পূর্ত মন্ত্রী; প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েই তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বনানীর ঘটনার পর তার বক্তব্য মানুষের নজর কেড়েছে। তার সততা ও দৃঢ়চিত্ত মনোভাব অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু তার কথাও কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় কতটুক হয় সেটা দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।