নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০১৯
নতুন নেতৃত্বের উন্মেষ ঘটানোই হবে আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য। এজন্য এবার তৃণমূলে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলাগুলোতে সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রাক্তন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাউন্সিলের দিন চূড়ান্ত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে, কাউন্সিলের প্রাক-প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা। প্রাক-প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতারা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক সফর করবেন। চলতি মাসেই এই সাংগঠনিক সফর শুরু হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানিয়েছেন। ঈদের পর থেকেই শুরু হবে কাউন্সিলের প্রাক-প্রস্তুতির দ্বিতীয় ধাপ। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে সব স্থানীয় পর্যায়ের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেগুলোতে সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে যেসব অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন দীর্ঘদিন ধরে হয় না সেগুলোর সম্মেলন করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, ঈদের পর থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থানীয় পর্যায়ের এবং অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শেষ হবে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র আভাস দিয়েছে যে, দীর্ঘদিন পর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন হবে এ বছরেই। স্থানীয় পর্যায়ে এবং অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলনের ব্যাপারে কিছু মাপকাঠি চূড়ান্ত করার কাজ করছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা কমিটিতে সম্পৃক্ত করার পক্ষে মত এসেছে। যুবলীগের স্থানীয় পর্যায়ের বিদায়ী নেতাদের স্থানীয় কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছে। ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিদায় নেওয়ার পর তিনি কোথায় যাবেন? এ প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। ছাত্রত্ব শেষ করে একজন ছাত্রলীগ কর্মী কোথায় যাবে? আমরা চাই ছাত্রলীগ শেষ করে ঐ নেতা বা কর্মী মূল সংগঠনে যাওয়া আগে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ বা অন্যকোনো সংগঠন করে তারপর মূল দলে আসুক। কিন্তু ছাত্রলীগের অনেক নেতাই ছাত্রলীগ শেষ করে আরেকটি অঙ্গসংগঠনে যেতে চায় না, মূল দলে কাজ করতে চায়। এক্ষেত্রে একটা রেফারেল পদ্ধতির চিন্তা করছেন দলের সভাপতি। কিন্তু রেফারেল পদ্ধতি কি হবে তাও চূড়ান্ত হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি একাধিকবার বলেছেন, আওয়ামী লীগের কর্মী আহরণের প্রধান উৎস হবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ এবং অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা যেন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব ছেড়ে অপাঙক্তেয় না হয়, সেজন্য তাদের মূল দলে জায়গা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও তিনি একাধিকবার বলেছেন। এই আলোকেই এবার স্থানীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। আগামী দিনের জন্য আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত করা হবে এবার কাউন্সিলের মাধ্যমে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বিএনপি ব্রিটিশ দূতাবাস সারা কুক
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় ব্রিটিশ দূতাবাসে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।