নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৭ এপ্রিল, ২০১৯
প্যারোল নেবেন না বেগম খালেদা জিয়া। প্যারোলের জন্য তিনি কোন আবেদনও করবেন না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এরকম মনোভাব জানিয়েছেন বলে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। গতরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। বার্তায় জামিনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করে আন্দোলনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। এই বার্তার পরপরই আজ রোববার বিএনপি গণ অনশন কর্মসূচী পালন করে এবং গণ অনশনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘প্যারোল এক ধরণের অনুকম্পা। ম্যাডাম কোন অনুকম্পা চান না।’ তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার জামিনের জন্য আমাদের আইনজীবীরা চেষ্টা করছেন। আমরা শুধুমাত্র বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলছি।’ নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা আশা করি, আদালতের রায়ে অথবা গণদাবীর মুখে সরকার বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।’
কদিন ধরেই বেগম জিয়ার প্যারোল নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ছিলো। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার প্যারোলের জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্যারোলের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫টি শর্ত দেয়া হয়েছিল। এই শর্ত নিয়ে সরকার এবং বিএনপির মধ্যে দরকষাকষিও হচ্ছিল। কিন্তু বেগম জিয়া আকস্মিকভাবেই প্যারোলের অবস্থান থেকে সরে আসলেন। সরকারের একটি সূত্র বলছে, কারাগারে বেগম জিয়াই প্যারোলের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুতে এসে তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন। ধারণা করা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুতে এসে তিনি দলের লোকজনের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারছেন। এজন্য তিনি প্যারোলে আগের মতো উৎসাহী নয়। বিএনপির একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালত থেকে তার জামিনের বিষয়টি প্রায় সম্পন্ন। আর দুটি মামলায় জামিন হলেই, বেগম জিয়ার জামিন পেতে আইনী কোন বাধা থাকবে না। যদিও বেগম জিয়ার মুখ্য আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন মনে করেন ‘সরকার না চাইলে আইনী প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি অসম্ভব। আমরা জানি না, তার বিরুদ্ধে কত মামলা রয়েছে। আর কত মামলা হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আস্তে আস্তে সংগঠিত হচ্ছে। হতাশা ভেঙে নেতা-কর্মীরা দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবীতে সোচ্চার হচ্ছেন। বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীটি ক্রমশঃ সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় একটি দাবীতে পরিণত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘নানা কারণে দেশের মানুষ সরকারের ব্যাপারে নেতিবাচক হয়ে উঠছে। আমরা মনে করি দেশে সরকার বিরোধি আন্দোলনের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। প্যারোলে বেগম জিয়া মুক্ত হলে, বিএনপির আন্দোলনের শেষ অস্ত্রটিও নষ্ট হয়ে যাবে। একারণেই আমরা মনে করি, প্যারোলে মুক্ত বেগম জিয়ার চেয়ে বন্দী বেগম জিয়া অনেক শক্তিশালী। বেগম জিয়া বন্দী থাকলেও আন্দোলনে গতি আসবে। বিএনপি এবং বেগম জিয়ার সিদ্ধান্ত ভুল না সঠিক তা বোঝা যাবে কদিন বাদেই।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।