নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০১৯
বিএনপিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একক নেতৃত্ব খর্ব করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির ৫ জন সদস্যকে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব থেকে মির্জা ফখরুলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে এককভাবে মির্জা ফখরুলের যোগদানের উপরও বিধি নিষেধ আরো করা হয়েছে। তাকে ৫ জনের যেকোন একজন নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সভায় যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে, কার নির্দেশে বিএনপির নেতৃত্বের এই পরিবর্তিত বিন্যাস যে সম্পর্কে পরস্পর বিরোধ তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য দাবী করেছেন,‘লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্দেশেই দলের এই বিন্যাস করা হয়েছে।’ কিন্তু দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান দাবী করেছেন, ‘বিএসএমএমইউ থেকে বেগম জিয়ার এরকম একটি নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তবে বেগম জিয়া বা তারেক জিয়া যেই দিক না কেন, নেতৃত্বের নতুন কাঠামোয় দলের কাজ শুরু হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন দলের সব নেতাই।
যে পাঁচজন এখন যৌথভাবে বিএনপির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁরা হলেন; ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস এবং নজরুল ইসলাম খান।
২০ দলের সঙ্গে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং নজরুল ইসলাম খানকে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিএনপির সকল অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় কাউন্সিল এখনই বিএনপি করবে না বলেই ‘উপর থেকে’ বিএনপিতে বার্তা এসেছে। তবে, জাতীয় কাউন্সিল না করলেও জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে যে কমিটিগুলো অকার্যকর এবং নিস্ক্রিয় সেগুলো দ্রুত ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ এসেছে। বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য এরকম নির্দেশনার কথা স্বীকার না করলেও বলেছেন যে, ‘বেশকিছু কমিটি অকার্যকর এবং নিস্ক্রিয়। এই কমিটিগুলোকে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থায়ী কমিটি।’ তিনি জানান, আগামী একমাসের মধ্যে দলের জেলা ও মহানগরীর নিস্ক্রিয় কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, খুব শিগগির স্থায়ী কমিটি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন। আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণের জন্য এই মতবিনিময় হবে। একই সঙ্গে বিএনপি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গেও মত বিনিময় করবে। ঐ নেতা এটাও জানিয়েছেন, ‘ঈদের পর আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা থেকেই এই সাংগঠনিক কর্মসূচিগুলো নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেছেন, ‘২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্ট নূন্যতম কর্মসূচিতে ঈদের পর আন্দোলনের ডাক দেবে। তবে এবার আন্দোলনের কর্মসূচিতে কেবল বেগম জিয়ার মুক্তি আর নতুন নির্বাচনের দাবি নয়। অনেক গণ দাবি যেমন গ্যাসের মূল্য কমানো, নিরাপদ সড়ক ইত্যাদিও যুক্ত করা হবে।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।