নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০১৯
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার। ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে এবং চতুর্থবারের মতো শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সাল থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, শেখ হাসনিা তাঁর আত্মীয়দের মন্ত্রীত্ব থেকে দূরে রাখছেন। ২০০৮ এবং ২০১৪ তে তাঁর বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন তাও মন্ত্রী ছিরেন। এবার মন্ত্রীত্ব থেকে তাকেও ছাটাই করা হয়েছে। কিন্তু আত্মীয় জন্যই রাজনীতিতে জায়গা পেয়েছেন, এমন নন অনেকেই। আওয়ামী লীগে এমন অনেক নেতাই আছেন যারা প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির নিকট আত্মীয় ছাড়াও আলোচিত নেতা। এলাকায় এবং দেশের রাজনীতিতে তাদের প্রভাব রয়েছে। যেমন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, ফজলে নূর তাপস। প্রশ্ন হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সভাপতির আত্মীয় হওয়া মন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কেন? শেখ হাসিনা কেন তাঁর কোনো কূলের আত্মীয়কেই মন্ত্রী করছেন না? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা সম্ভাব্য কিছু কারণ পেয়েছি। বাংলা ইনসাইডারের বিশ্লেষণে এই কারণগুলো এরকম-
১. বিএনপি থেকে শিক্ষা: আত্মীয়করণের পরিণাম কি হয় তাঁর সবচেয়ে বড় উদাহরণ সম্ভবত বিএনপি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া আত্মীয় স্বজনরাই দেশ চালাতেন। তাঁর ছেলে ছিলেন ছায়া প্রধানমন্ত্রী। বড় বোন মন্ত্রী, ভাই দেখতেন সেনাবাহিনী। বোনের মেয়ের জামাইও মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ যাননি। এই আত্মীয়করণ দেশের মানুষ পছন্দ করেনি। সম্ভবত আত্মীয়করণমুক্ত মন্ত্রিসভার পেছনে এটা একটা বর কারণ।
২. জবাবদিহিতা: প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের কঠোর নজরদারি এবং নির্দেশনার মধ্যে রাখেন। একজন মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘নেত্রী আমাদের দৌড়ের উপর রাখেন। মন্ত্রীদের অনেক সময় কড়া শাসনেও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। কোনো মন্ত্রণালয়ে কি হচ্ছে তা জানেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। আত্মীয়রা মন্ত্রী হলে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হতে কিছুটা সমস্যা হতো হয়তো। এজন্য হয়তো তাঁর এই কঠোরতা।
৩. দুর্নীতিমুক্ত ইমেজ: গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। আত্মীয়রা মন্ত্রী হলে ছিদ্রান্বেষণের চেষ্টা চলতো। মিডিয়া গসিপ হতো।
৪. সরকারে ইমেজ: ক্ষমতায় থেকে আত্মীয়দের আশ্রয় প্রশ্রয় দিলে সরকারের ইমেজ নষ্ট হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এটা স্বাভাবিক প্রবণতা। এজন্যই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী আত্মীয়দের দূরে রেখেছেন। এটা সরকারের জন্য ইতিবাচক হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
৫. ক্ষতিগ্রস্থ না হয়: দেখা যায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হন আত্মীয় স্বজনরা। বিশেষ করে তারা যদি ক্ষমতার কাছে থাকেন। ২০০১ সালের অভিজ্ঞতা তাই বলে। ওয়ান ইলেভেনেও শেখ হাসিনার আত্মীয়দের ওপর খড়গ নেমে এসেছিল। আর ৭৫ এর নারকীয় অভিজ্ঞতা তো কোনদিনই মুছে যাবার নয়। সম্ভবত আত্মীয়দের মন্ত্রীত্ব থেকে দুরে রাখার এটাও একটা কারণ।
তবে, আওয়ামী লীগ সভাপতি কেন আত্মীয়দের মন্ত্রিসভা থেকে দুরে রেখেছেন, তার আসল কারণ জানেন একমাত্র শেখ হাসিনা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।