নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের উপর যুক্তরাজ্যে তারেক জিয়ার থাকা না থাকা অনেকাংশে নির্ভর করছে। কূটনীতিকরা বলছে, যদি অ্যাসাঞ্জকে শেষপর্যন্ত যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করে তাহলে তারেক জিয়াকে প্রত্যপর্ণের বাংলাদেশের দাবি শক্তিশালী হবে। দুই হাজার ৪৮৭ দিন লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে ছিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডর অ্যাসাঞ্জ এর কূটনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করার পরপরই লন্ডন পুলিশ দূতাবাসের ভেতরে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ছিলো আদালতে হাজির না হওয়া। এজন্য তার একবছর সাজা হতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ অনুরোধ। আর এই অনুরোধ যদি ব্রিটিশ সরকার রক্ষা করে সেক্ষেত্রে তারা তাদের স্বীকৃত মানবাধিকার নীতি থেকে সরে আসবে। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুপ্তচরবৃত্তির। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আর এই কারণেই ব্রিটেন অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে দিতে পারে না। কারণ যদি কোনো ভ্যক্তির সামনে মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকি থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ঐ দেশে ফেরত দেয় না। এ কারণেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। এজন্যই তাকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্য আপত্তি করছে। কারণ তারেক জিয়া তার রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত আবেদনে বলেছেন যে, বাংলাদেশে গেলে তার প্রাণহানির অথবা মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে করা অঅবেদনে বলা হয়েছে যে যেহেতু তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েঝছে, কাজেই তার মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা নেই। কিন্তু পাল্টা যুক্তি হিসেবে তারেক জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, বাংলাদেশে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড না হলেও হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতে দণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে তারা কাদের মোল্লার উদাহরণ দিয়েছে। তারেক জিয়াও এক মামলায় নিজ আদালতে বেকসুর খালাস পেলেও হাইকোর্ট তাকে দণ্ডিত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। কাজেই তারেক জিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয় যে, তারেক জিয়া মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী , জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ কারণেই জুলিয়ান অ্যসাঞ্জ ইকুয়েডরে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাস তাকে আশ্রয় দিয়েছিল এই যুক্তিতে যে, যুক্তরাষ্ট্রে তার মৃত্যুদণ্ডের আশংকা রয়েছে। ব্রিটেনেও একই কারণে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্টের কাছে ফেরত দিতে পারে না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির নেতা, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার আইন উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জকে প্রত্যার্পন না করার দাবি জানিয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর হলো, বাংলাদেশ অ্যসাঞ্জ ইস্যুটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শেষ পর্যন্ত যদি অ্যাসাঞ্জকে ব্রিটেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তারেক জিয়ার দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পরবে। এখন বাংলাদেশকে অন্য কৌশল গ্রহণ করতে হবে। আর যদি অ্যাসাঞ্জকে মার্কিন যুক্তরাষ্টের কাছে প্রত্যার্পন করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের জন্য তারেককে ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।