নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়োজনে দলটিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে প্রধানতম হলো নেতৃত্বের জট। আর এ জট কাঁটাতে ছাত্রদলকে রোডম্যাপ দেবেন লন্ডনে পলাতক থাকা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রয়োজনে এনিয়ে কথা বলবেন স্কাইপেতে।
জানা গেছে, ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকেই নানামুখী চাপের কারণে বিএনপির মতো ছাত্রদলও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়মিত রাখতে পারেনি। মেধাবী ও যোগ্য অনেক নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে পারেননি, বয়স বেড়ে গেলেও কেউ পরীক্ষা না দিয়ে, কেউ বা নামকাওয়াস্তে এডমিশন নিয়ে ছাত্রনেতা হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন।
সর্বশেষ ৭৩৬ জনের কমিটি করেও ত্যাগী ও মেধাবী নেতাদের সবাইকে যথাযোগ্য পদ দিতে পারেনি ছাত্রদল। এই কমিটির বয়সও ৫ বছর পার হয়ে গেছে। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ওই কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয় ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ছাত্রদলের সাবেক শীর্ষনেতা, যারা বিএনপিতে সক্রিয় আছেন, তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে ছাত্রদল পুনর্গঠনের রূপরেখা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান। সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাথমিক বৈঠক শেষে গত সপ্তাহে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির সাথে বৈঠকে বসেন ছাত্রদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা। এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্রদল আমাদের নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদলে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সংকট দেখা দিয়েছে। এটা সব দলেই হয়, জোয়ার-ভাটা থাকে। তবে ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরির জন্য ছাত্রসংগঠনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়, আমরাও সেই পথ অনুসরণ করি। তিনি বলেন, আমরা যারা ছাত্রদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আছি, আমরা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে বসেছি। সংগঠনকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর দীর্ঘমেয়াদী একটি রোডম্যাপ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। ছাত্রনেতাদের কথা শুনেছি, আমাদের পরামর্শও তাদের জানিয়েছি। আশা করছি, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার এই প্রক্রিয়া সফল হবে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান জানান, আমরা প্রাথমিক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু বিষয়ে একমত হতে না পারায় সেসব নিয়ে আলোচনা এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, এ বছরেই দু’বার বদলাবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এ মাসের শেষে বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ মাসে সম্ভব না হলে রোজার আগে অবশ্যই। এই কমিটির দায়িত্ব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন।
রোজার আগেই যে কমিটি হবে, সেটি আহ্বায়ক কমিটি হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সভাপতি বলেন, পূর্ণাঙ্গ না আহ্বায়ক, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রাথমিক যে রূপরেখা তৈরি হয়েছে, তাতে দুটো অপশনই রাখা আছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তটি ফাইনাল হয়ে যাবে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই বৈঠকে ছাত্রনেতাদের বয়সসীমা নিয়েও কথা বলেছেন অনেকে। কেউ চাইছেন ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নিয়মিত ছাত্রদের নেতৃত্বে আনা হোক। অনেকেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। বয়সসীমা নির্ধারণের যারা বিরোধিতা করেছেন, তারা এবারের ডাকসু নির্বাচনের উদহারণ দিয়েছেন। তবে এই খসড়া রোডম্যাপ নিয়ে ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা বিএনপি নেতাদের সাথে স্কাইপেতে কথা বলবেন তারেক রহমান। তার সিদ্ধান্ত জানার পর পরই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।