নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনিষ্পন্ন মামলাগুলোর সহায়তাকারী আইনজীবি হিসেবে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের সহায়তা কামনা করলে ড. কামাল তাতে অসম্মতি জানান। বিএনপির মহামসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে ড. কামালের সঙ্গে কথা বললে তাতে সায় দেননি কামাল হোসেন। ড. কামাল হোসেনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধে আছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা। তারা কোনভাবেই এসব মামলার কূলকিনারা করতে পারছেন না। যে কারণে দীর্ঘদিন যাবত বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কারান্তরীন থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বয়ং বেগম খালেদা জিয়া অসন্তুষ্ট। গেল সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গেলে আলোচনায় প্রাধান্য পায় খালেদা জিয়ার মামলার অগ্রগতি না হওয়া। বিষয়টি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের কূটকৌশলকে দুষলেও খালেদা জিয়া তাতে সন্তুষ্ট হননি। একপর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেন আমার সকল মামলা নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সহায়তা নিন। বিষয়টি নিয়ে খালেদা জিয়া প্রথমে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারের সঙ্গেও কথা বলতে বলেন। এ ধারাবাহিকতায় বিএনপি মহাসচিব খালেদা জিয়ার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের দারস্ত হলে ড. কামাল খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় সহায়তাকারী হতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানান। তবে ড. কামাল হোসেন বলেন, প্রয়োজনে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবিদের তিনি সুপরামর্শ দিতে পারেন। তবে মামলা পরিচালনায় সরাসরি কখনোই যুক্ত হবেন না। তবে এ বিষয়ে বিএনপির অভ্যন্তরে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।