নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯
খালেদার মুক্তি নিয়ে বিএনপির মধ্যে নাটক জমে উঠেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা চাইছেন না যে, বেগম খালেদা জিয়া সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে প্যারোলে মুক্তি পাক। অন্যদিকে জিয়া পরিবারের সদস্য শামীম ইস্কান্দারসহ তার আত্মীয় স্বজন মনে করছেন, যে কোন মূল্যে বেগম খালেদা জিয়াকে এখন মুক্তি করা প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হলে সবকিছুই করা সম্ভব হবে। এই দুই পক্ষের মত বিরোধের কারণে আটকে গেছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারের সমঝোতা। এ ব্যাপারে মধ্যস্থতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, লন্ডনে পলাতক বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র পুত্র তারেক জিয়াকে। দুই পক্ষই তারেক জিয়ার মধ্যস্থতায় রাজি হয়েছিলেন।
শামীম ইস্কান্দার মনে করেছিলেন তারেক খালেদা জিয়ার সন্তান। সে মায়ের মঙ্গল কামনা করবেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করছিল, যেহেতু তিনি খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেজন্য তার মতামত এবং সিদ্ধান্তের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু তারেক জিয়া খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। অন্য একটি সূত্র বলছে যে, বেগম জিয়ার প্যারোলের ব্যাপারে তারেক জিয়া নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তাঁর মামা শামীম ইস্কান্দারের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, তারেক জিয়া আজ দলের মহাসচিসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং করণীয় নিয়ে আলাপ করেছেন। আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে আরও বেশি জনমত তৈরি ও আন্দোলনের উপর জোর দিয়েছেন বলে জানা গেছে। একইভাবে তিনি শামীম ইস্কান্দারের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সন্তান হিসেবে তিনি চান না তাঁর মা আপোষকামী, কাপুরুষ হিসেবে পরিচিত হোক। প্যারোলে মুক্তি দিলে বেগম খালেদা জিয়া অর্জিত ইমেজ নষ্ট হবে বলে তারেক মতামত দিয়েছেন। তিনি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ এবং আন্তর্জাতিক জনমত তৈরীর জন্য মতামত দিয়েছেন। যদিও শামীম ইস্কান্দারের সঙ্গে এনিয়ে উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে। তবে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছে, এরকম কোন কথা কটাকাটির ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন রকম মত এসেছে। তারেক জিয়া সন্তান এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে মতামত দিয়েছেন। সেখানে আবেগতাড়িত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে বিএনপির কিছু কিছু নেতা মনে করছেন, তারেক জিয়া আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান না। খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে যে শর্ত, তার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারেক জিয়া দেশে ফিরে কারাভোগ করতে চান না বলেই মায়ের কারাভোগ নিশ্চিত করতে চাইছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।