নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী দুই একদিনের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে, এই সাক্ষাতের প্রস্তাব উথ্থাপন করবেন ফখরুল। স্থায়ী কমিটিতে অনুমোদন পেলে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের লিখিত আবেদন করবেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্থায়ী কমিটিতে যেন মির্জা ফখরুলের প্রস্তাব পাশ হয় সেজন্য ইতিমধ্যেই তিনি দলের বিভিন্ন নেতার কাছে তার এই মনোভাব জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বিষয়টি নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের যুক্তি হিসেবে ঐ তিন নেতাকে যা বলেছেন, তা হলো, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সরকারে কারো সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাই যা বলার তা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে। পাঁচটি ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান বিএনপি মহাসচিব। এগুলো হলো;
১. বেগম জিয়ার মুক্তি। এজন্য তাঁর জামিনের আবেদনে সরকার যেন বিরোধীতা না করে।
২. মুক্তি দেয়া না হলেও তাঁর (বেগম জিয়ার) যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। ইউনাইটেড বা অ্যাপোলেতে চিকিৎসার অনুমতি প্রদান।
৩. বিএনপির আটকে নেতা কর্মীদের মুক্তি প্রদান। বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রাক্কালে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
৪. বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার। যে মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে দিয়েছিলেন।
৫. রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় বাধা না দেয়া।
বিএনপি’র দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এর আগে বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সে সময়ই বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লাভ নাই। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বেগম জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। বিএনপিপন্থী বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীরাও মির্জা ফখরুলকে এই পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, সত্যি যদি আপনারা বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা চান, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করুন। তাদের মতে, একমাত্র তিনি রাজি হলেই এটা সম্ভব। অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় এটা সম্ভব না। বিএনপির নেতারাও এখন প্রকাশ্যেই স্বীকার করছেন, আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করা অসম্ভব ব্যাপার। সামনে রোজা, তারপর বর্ষাকাল। এরমধ্যে খালেদার মুক্তির আন্দোলন জমবে না। আর বিএনপিতে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার রাজি না থাকলে কোনোভাবেই বেগম জিয়ার জামিন সম্ভব নয়। বেগম জিয়ার প্রধান কৌশলী এডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেছেন, ‘আমরা একটা করে মামলায় জামিন নিচ্ছি, সরকার আরেকটা করে নতুন মামলা দিচ্ছে। তাই জামিন প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি অসম্ভব ব্যাপার।’
উল্লেখ্য, আগামীকাল ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সফরে ব্রনাই যাচ্ছেন। যদি সবকিছু ঠিক ঠাক থাকে তাহলে এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।