নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আগামী অক্টোবরে। সভাপতির পদ পরিবর্তন না হলেও প্রতিবছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কিন্তু চমক থাকে। সভাপতির পর আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক সংস্থা হলো সভাপতি মন্ডলী বা প্রেসিডিয়াম। গত কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম আবদুল মান্নান খানের অন্তর্ভূক্তি ছিলো বড় চমক। তার আগের কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম থেকে তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমুর বাদ পরাটা ছিলো বড় বিস্ময়। বিগত কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে পরিবর্তন আনা হয়। গত দুটি কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এবার কাউন্সিলে কি ধরনের পরিবর্তন হতে পারে? যদিও অনেকেরই মনে হতে পারে, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের এখনও ঢের সময় বাকি। তাই কাউন্সিলে কি ধরনের চমক থাকবে, কারা আসবে বা বাদ যাবে তা এখনই চুড়ান্ত হবে না। কিন্তু যারা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ঘনিষ্ঠভাবে চেনেন, তারা জানেন, শেখ হাসিনা কমিটি পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করেন। তার ডায়রীতে তিনি নেতাদের ভালো এবং মন্দ কাজের নোট রাখেন। আগে থেকেই তাই অনুমান করা যায় কমিটিতে কারা নেতৃত্বে আসবেন বা কারা বাদ পড়বেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এবার অনিবার্যভাবেই আসবেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। দীর্ঘ আট বছর তিনি যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে দেখা যাবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হবেন নাকি প্রেসিডিয়ামের সদস্য হবেন তা নিশ্চিত নয়। একইভাবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা কাওসারও এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসবেন তা নিশ্চিত। তিনি হয়তো কোনো সম্পাদক পদ পেতে পারেন। মন্ত্রীত্ব থেকে বাদ পড়ায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মির্জা আযমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সেটা না হলেও তিনি যে সম্পাদক মণ্ডলীর দায়িত্ব পাবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সাম্পাদক পদে যদি পরিবর্তন না হয় সেক্ষেত্রে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক ডাকসু ভিপি আখতারুজ্জামানকে সম্পাদকমন্ডলীতে দেখা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, এবার আওয়ামী লীগে তারুণ্যের প্রাধান্য দেখা দেবে । যেহেতু মুল নেতৃত্বের পরিবর্তনের ইঙ্গিত ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে; তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরুণদের বেশীকরে স্থান দেয়া হতে পারে। তবে, পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করেছে, সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা কি আরো এক মেয়াদে দায়িত্ব নেবেন কিনা, সেই প্রশ্নের উপর। আওয়ামী লীগ সভাপতি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তাঁর শেষ মেয়াদ। এরপর তিনি আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন না। সেই হিসেবে ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব নেবেন না। যদিও তিনি দলের সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি। অবশ্য প্রতিবার কাউন্সিলেই তিনি দলের সভাপতি পদ ছাড়ার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন। কিন্তু কর্মীদের আবেগের কাছে তিনি পরাস্ত হন। তবে আওয়ামীলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠরা বলেছেন আগামি বছর জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী এবং মুজিব বর্ষের সূচনা। আর ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। তাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বড় পরিবর্তন এই কাউন্সিলে অসম্ভব।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।