নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৯
শেখ হাসিনার জন্যই শান্তির বাংলাদেশ। সারাবিশ্ব এখন সন্ত্রাসের আতংকে ভুগছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলঙ্কায় হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটলো। ভয়াবহ নৃশংশতায় পুরো মানবতা আজ কাঁদছে। সারাবিশ্ব আজ আতংকপুরীতে পরিনত হয়েছে। আমরা এই বিশ্ববাসী জানিনা, আগামীকাল কোথায় বোমা হামলা ঘটবে। কোথায় নীরিহ প্রাণ বিপন্ন হবে! এই উপমহাদেশ এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ভারতে বোমা হামলা, হত্যা, নৃশংসতা এখন একটা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে। পাকিস্তানে তো এটা মানুষ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে। নেপালেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের কথা তো যতো কম বলা যায় ততই ভালো। সারাবিশ্বের কাছে আফগানিস্তান এক বিস্ফোরক দেশ হিসেবেই পরিচিত। শ্রীলঙ্কা ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশকে নিয়েও কম আতঙ্ক উৎকন্ঠা ছিল না। বাংলাদেশ বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে বারবার বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিদের উথান হবে। বাংলাদেশ জঙ্গীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ইত্যাদি নানা কলঙ্ক আর কথাবার্তা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে। কিন্তু একজন মানুষ ক্রমশ এই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন। শুধু ধারণাই পাল্টে দিচ্ছেন না, তিনি বাংলাদেশকে এখন রোল মডেল রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ, সেখানে বাংলাদেশের মডেল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে আজ বিভিন্ন দেশে। আজ বাংলাদেশ শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজয়ী এক দেশ নয়, বরং শান্তি ও সাম্প্রদায়িকের রোল মডেল অনবদ্য এক দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এটা সবাই স্বীকার করে এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের উৎপাটনই করেননি, এদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবেও পরিনত করেছেন। পাশাপাশি তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন রচনা করেছেন এদেশে। সেইজন্য আজকে যখন শ্রীলঙ্কা বা ক্রাইস্টচার্চে ধর্ম বা উগ্রবাদের নির্মম শিকার হন সাধারণ মানুষ, তখন বারবার ফিরে আসে বাংলাদেশের কথাই। বিশ্ব মানবতা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছে। তার শান্তির মডেল জনগনের ক্ষমতায়ন অনুসরণ করে সম্ভব বিশ্ব শান্তি অর্জন করা। বাংলাদেশে হলি আর্টিজনের পর বড় ধরনের কোন জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। এমনকি যে হলি আর্টিজনের ঘটনা ঘটেছিল, সেই ঘটনাকে সারা বিশ্বে বলা হচ্ছে যে, সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনে একটি অনবদ্য অপারেশন। যে অপারেশনে নূন্যতম ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে সমস্ত জঙ্গি এবং অপরাধীদেরকে পরাস্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি। যদিও বারবার বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রনায়কোচিত বিচক্ষনতায় তার দুরদৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ক্রমশ একটি শান্তি ও সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আজকে শ্রীলঙ্কার ঘটনার পর বারবার বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেছে। শ্রীলঙ্কায় যে ঘটনাটা ঘটেছে তা নি:সন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক, অনাকাঙ্খিত এবং মানবতার জন্য এক আর্তনাদ। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যার্থতাগুলোকেও আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলো বোমা নিয়ে সন্ত্রাসীরা আক্রমন করলো, কিন্তু কোন গোয়েন্দা তথ্য ছিলো না। এমনকি এই ঘটনার পর সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনেও সেরকম কোন স্বস্তি পাওয়ার মতো তৎপরতা লক্ষ্য করিনি।
এই প্রেক্ষাপটে এ কথা বলা যায় যে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বিশ্বে অন্যতম ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার, সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়দিন পর পর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশ্বে যখন কোনো রাষ্ট্রই সন্ত্রাসের আগ্রাসী থাবা থেকে নিরাপদ নয়, তখন আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় এবং নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কাজেই আমরা যদি এখন বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই, বিশ্বকে যদি আমরা সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে চাই তাহলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যে চিন্তা, দর্শন এবং আদর্শকে লালন করা জরুরি বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা আরও মনে করছেন, তার পদ্ধতি এবং মৌলিক ৬টি নীতি রয়েছে, সেই নীতিগুলো মেনে চলেই বিশ্বে শান্তি আনা সম্ভব।
মৌলিক ৬টি নীতিগুলো হলো-
এক- জনগনের ক্ষমতায়ন, জনগণকে মূল্যায়ন করা এবং জনগণের অভিপ্রায়ের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।
দুই- সব ধর্মের মর্যাদা দেওয়া। কোনো ধর্মকে আঘাত না করার নীতি।
তিন- সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি
চার-একটি ভূখণ্ডে বিদেশী কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে স্থান না দেওয়া। সে ব্যাপারে কঠোর নীতি গ্রহণ করা।
পাঁচ-সন্ত্রাস দমনে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোয়েন্দাব্যবস্থাকে উন্নত করা।
ছয়- জনগণকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন করে তোলা।
এই ছয়টি নীতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন। শ্রীলংকার এই ঘটনাটির পর এই উপমহাদেশ শুধু নয়, সারাবিশ্বের সন্ত্রাস মোকাবেলায় শেখ হাসিনার মডেল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসির উচ্চপর্যায়ের সভায় গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জানিয়েছেন।
একটি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে
জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭০টি ও তৃতীয় ধাপে ৪০টি উপজেলায় নিরাপত্তা
ঝুঁকি রয়েছে। আরেকটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ
করেছে। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে-নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আভাস দিয়েছে। এজন্য
প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
তবে তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন প্রতিহতের বড় ধরনের কর্মসূচি নেই।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা
পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত
বৈঠকে এমন আভাস দেওয়া হয়। ওই সভায় পরিস্থিতি অবনতির বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়। বলা
হয়, দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন।
অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ
কোন্দলও রয়েছে। ওই রেশে ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বৈঠকে আরও বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াত
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। তবুও বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন। জামায়াতেরও পাঁচজন মাঠে রয়েছেন। এসব উপজেলায় সহিংসতার শঙ্কা বেশি। নির্ভরযোগ্য
একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও জানা যায়, সভায় সাম্প্রতিক ঘটনায়
অতি নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বান্দরবানের থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার নির্বাচন
স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি উপজেলাগুলোয় ২০১৯ সালের তুলনায় এবার আইনশৃঙ্খলা
নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এবার সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী
পুলিশসহ ১৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭-১৮ জন আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে
চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ
১৮-১৯ জন নিয়োজিত হবেন।
ওই সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে পরে
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, সভায় উল্লেখযোগ্য
সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে
বেশিসংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে
সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। সুষ্ঠু ভোট
আয়োজনে উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রতি উপজেলায়
সর্বনিম্ন দুই প্লাটুন এবং সর্বোচ্চ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি
না-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, একই দলের একাধিক প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন।
এমনকি যেসব দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে, তাদেরও প্রার্থী রয়েছেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে
উঠে এসেছে। ফলে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি
তৈরির আশঙ্কা নেই।
তিন উপজেলা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে
যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে’।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী
হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে রুদ্ধদ্বার
এ সভা। সভায় চারজন নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসারের মহাপরিচালক
অংশ নেন। এছাড়া পুলিশের আইজি, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর মহাপরিচালকের পক্ষে
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত চার ধাপে
৪৭৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে। প্রথম ধাপে ১৪৮টি উপজেলায় ৮মে, দ্বিতীয়
ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
জয়ী হয়েছেন। বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান,
সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ চার উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
বৈঠক সূত্র জানায়, পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা
সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে উপজেলা নির্বাচনে
সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানান। একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৈঠকে বলেন, অনেক জায়গায়
আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ২৬ প্রার্থী
নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। বিএনপি-জামায়াতেরও প্রার্থী আছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত কোনো
ঝুঁকি না থাকলেও ভোটের দিন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রথম ধাপের ৪৯টি উপজেলাকে
ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ নির্বাচনে ৬৯টি উপজেলায়
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। এ মেশিনে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হলেও পরিস্থিতি
অবনতি হতে পারে।
আরেক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি মঙ্গলবার
সকাল পর্যন্ত তফশিল ঘোষিত তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপের ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপের ৭০টি ও
তৃতীয় ধাপের ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সভায় উল্লেখ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব
এবং বিচ্ছিন্নভাবে বিএনপির ১১৬ জন প্রার্থী মাঠে থাকার কথা জানিয়ে বলেন, এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার
কারণে নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। যেহেতু সব এলাকা সমান
ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তাই ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি দলের
একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা
প্রকাশ করা হয়। র্যাবের মহাপরিচালক জানান, র্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। তবে পরিস্থিতি অবনতি হলে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার
নির্দেশে র্যাব ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করবে।
উপজেলা নির্বাচন গোয়েন্দা সংস্থা ইসি
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই ভোটের দিন পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। ইসির উচ্চপর্যায়ের সভায় গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য জানিয়েছেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৭৮টি, দ্বিতীয় ধাপে ৭০টি ও তৃতীয় ধাপে ৪০টি উপজেলায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। আরেকটি সংস্থা জানিয়েছে, শুধু প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছে। ভোটের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে-নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আভাস দিয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে ইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।