নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠছে নতুন বিএনপি। এই বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির পিতাকে স্বীকৃতি দিবে। স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সম্পর্ক রাখবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা থাকবে দলের গঠনতন্ত্রে। তবে এই দলের নেতৃত্বে কে থাকবেন টা স্পষ্ট নয়। একাধিক সূত্র আভাষ দিয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিএনপির প্রধান হতে পারেন। যদিও বিএনপির শীর্ষ নেতারা এটা অস্বীকার করেছে। কিন্তু বিএনপি ঘনিষ্ট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সম্পর্ক্ত ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতির পিতাকে স্বীকৃতি দিতে বিএনপির অসুবিধা থাকা উচিৎ নয়। এনিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।‘ ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বুঝতে হবে। একই সঙ্গে এরকম জাতীয় সমঝোতার জন্য সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন সরকার যদি বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয় তাহলে সমঝোতার পথ উন্মুক্ত হতে পারে। অবশ্য ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এরকম বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে বিভক্ত করতে সরকারের এজেন্ট হয়েই দলের মধ্যে অনেকে কাজ করছে।‘ এরা কারা জানরতে চাওয়া হলে গয়েশ্বর বলেন, ‘এরা কারা সবাই যানে।‘ বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এই সদস্য মনে করেন, ‘৮২সালেও বিএনপি থেকে কিছু নেতা বেরিয়ে গিয়েছিল। এতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং যারা বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করেছিল তাঁরাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।’ গয়েশ্বর বলেন, ‘আমি সহ যারা বড় নেতা তারা বিএনপি আছে বলেই বড় নেতা। বিএনপি ছাড়া এদের চার পয়সার দাম নেই।‘
তবে বিনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে বলে জানা গেছে। সরকারের সঙ্গে দর কষাকষিতে মির্জা ফখরুল যে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন তা মোটামুটি সবাই জানে। তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, মূলত: বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়েই সরকারের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে মহাসচিবের। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়া যদি রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন, তাহলে তার মুক্তির বিষয়টি সরকার বিবেচনা করতে পারে। সূত্র মতে, মির্জা ফখরুলও সংসদে যাবার বিপক্ষে নয়, কিন্তু তিনি চান আগে বেগম জিয়ার মুক্তি। একাধিক সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল সরকারকে আশ্বস্ত করেছে যে, বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হলে বিএনপির নির্বাচিতরা শপথ নেবেন। বেগম জিয়াই তাদের তাদের শপথ গ্রহনের নির্দেশ দেবেন। সরকারের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুলের বক্তব্য অস্বীকার করা হচ্ছে না, কিন্তু দলে মির্জা ফখরুলের যে গ্রহণযোগ্যতা নেই, এটা সরকার বোঝে। তাছাড়া, কারাগার থেকে বেরিয়ে বেগম জিয়া অন্যরকম অবস্থানও নিতে পারেন। অতীতে এরকম ঘটনা বহুবার ঘটিয়েছেন বেগম জিয়া। যে কারণেই আসছে নতুন বিএনপির প্রসংগটি। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যদি শপথ নেন, তাহলে সেটাই হবে আসল বিএনপি। যে বিএনপি জিয়ার আদর্শ নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরন করবে। তবে, একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং বিএনপির একাংশকে নিয়ে যে নতুন বিএনপি হবে তার নেতা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীও হতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।