নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগে কিছু না পাওয়াদের তালিকা তৈরী হচ্ছে। আর এই তালিকা করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজে। গত দশ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে। এই সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ত্যাগী, পরীক্ষীত এবং দু:সময়ের কাণ্ডারী প্রায় সবাইকেই মূল্যায়ন করেছেন, কিন্তু এদের কেউ কেউ তালিকা থেকে বাদ পরেছে। এই বাদ পড়াদের এখন মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ৫ টি ক্ষেত্রের যেকোন একটিতে অবদান রেখেছেন অথচ কিছুই পাননি এমন নেতাদের পুরস্কৃত করা হবে। যে ৫ টি ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হচ্ছে, তা হলো;
১. জাতির পিতার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এমন প্রবীণ রাজনীতিবীদরা, যারা এখন জীবন সায়াহ্নে উপনীত হয়েছেন। যেমন, ২০১৪ সালে ইমাজউদ্দীন প্রামানিককে পুর্নমন্ত্রী করে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। এরকম যারা এখন দুএকজন আছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তারা যে কেবল কেন্দ্রীয় নেতা তেমনটা নয়, জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ অনেকে এখনো তৃনমূলেই পরে যাচ্ছে।
২. ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর যারা প্রতিবাদ করেছিলেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতিত হয়েছেন এমন তৃনমূলের নেতা কর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। যে পরিবারগুলো ঐ সময় অবস্থান অবদান রেখেছেন, সেই পরিবারের সদস্যদেরও মূল্যায়ন করা হবে।
৩. ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর যারা বিএনপি সন্ত্রাস এবং বর্বরতার স্বীকার হয়েছেন কিন্তু এখনও মূল্যায়ন হয়নি, তাদের। যারা বিএনপির নৃশংসতায় জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবারকে।
৪. ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাঁদের পরিবার। যারা আহত হয়েছেন তাঁদেরও অবদান মূল্যায়ন করা হবে।
৫. ওয়ান-ইলেভেনের সময় যারা দলের সভাপতির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন, সংস্কারপন্থীরা যাদের কারণে সফল হতে পারেননি তাঁদের যদি কেউ পুরস্কৃত না হন তাঁরাও এবার তালিকায় থাকবেন এবং পুরস্কৃত হবেন।
তবে কেউ যদি একটি ক্ষেত্রে অবদান রাখেন অন্যক্ষেত্রে দলের স্বার্থবিরোধী অবস্থান নেন তাহলে তিনি এই তালিকায় থাকবেন না। যেমন ৭৫এর ১৫ আগস্টের পর দলের জন্য অবদান রেখেছেন কিন্তু আবার ওয়ান ইলেভেনে সংস্কারপন্থী হয়েছেন তিনি এই তালিকায় থাকবেন না। অর্থাৎ যেকোনো ৫ টি ক্ষেত্রের একটিতে অবদান রেখেছেন বাদবাকি সময়ে দলের আদর্শচ্যূত হননি তাঁরাই মূল্যায়ন তালিকায় ঠাঁই পাবেন। সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে এরা সামনে আসবেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সরকারী পদে তাঁদের নিয়োগ দেয়া হবে। এদের কেউ কেউ হয়তোবা অদুর ভবিষ্যতে মন্ত্রীও হবেন। তবে, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রিসভাসহ বিভিন্ন পদে এদের অধিকাংশকেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী দেখছেন এরপরও কেউ বাদ গেলো কিনা। তালিকা তৈরি হলেই অবসানের স্বীকৃতি পাবেন দলের পরীক্ষিতরা। যদিও তারা কোনো মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন না। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।