নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯
আওয়ামী লীগের ১০০ দিনের মন্ত্রিসভার ওপর প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নিজস্ব টিম এই প্রতিবেদন তৈরী করেছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের ভালো কাজ এবং মন্দ কাজের সম্পর্কে আলোকপাত করবেন। মন্ত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিবেন বলে সরকারের একাধিক নীতি নির্ধারক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রথম তিনমাসের মন্ত্রিসভায় সদস্যদের যে কার্যক্রম তাতে মন্ত্রীরা সন্তুষ্ট। মন্ত্রীরা চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে। ছোটখাটো ত্রুটি বিচ্যুতি ছাড়াও আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ আন্তরিক ছিলেন এবং তারা মন্ত্রণালয়ের কাজগুলোকে রপ্ত করে দ্রুত সরকারের অগ্রগতি এবং উন্নয়নের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা করেছে বলে ১০০ দিনের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্যদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি উল্লেখযোগ্য ছিলো তা হলো, মন্ত্রিসভায় কোন সদস্যর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অপ্রীতিকর অভিযোগ আসেনি। মন্ত্রিসভার সবাই ক্লিন ইমেজ ধরে রেখেছেন। কোন মন্ত্রী বিতর্কিত বক্তব্য বা মন্তব্য দেননি। এটাই ছিল তিনমাসের মন্ত্রিসভার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক।
প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রনীত ১০০ দিনের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে মন্ত্রীদের আরো দক্ষ এবং দ্রুত ফাইল নিস্পত্তি করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিদের্শনা মন্ত্রীদেরকে দিবেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ অবস্থার পরিবর্তন চাইছে প্রধানমন্ত্রী নিজেও। তিনি চাইছেন যে, মন্ত্রণালয়ের নিত্য নৈমত্তিক রুটিন দায়িত্বগুলো যেন মন্ত্রীরাই পালন করেন সে ব্যাপারে মন্ত্রীদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে কিছু পরামর্শ দিবেন। গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারনী বিষয় ছাড়াও দৈনন্দিন রুটিন কাজের জন্যও মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করেন, এটা ছিল গত তিনমাসে মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা বলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রনীত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মূল্যায়ন প্রতিবেদনে একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, এই ১০০ দিনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের কোথাও কোথাও মন্ত্রীদের দ্বন্দেরও খবর পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও আমলাদের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ছোটখাটো দ্বন্দ্বেরও খবর প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এগুলো কোন বড় বিষয় নয় বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এরকম দ্বন্দ্ব স্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সামগ্রিক বিচারে টানা তৃতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভাকেই সবচেয়ে বিতর্কমুক্ত এবং দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রিসভা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এত প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট বলেই সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।