নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ০১ মে, ২০১৯
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুটা বিমর্ষ হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়ার পর বেরিয়ে চীফ হুইপসহ দলের নেতৃবৃন্দকে বলেছিলেন যে, ‘বিএনপির ভুল কৌশলের কারণে বার বার মাশুল দিতে হচ্ছে ফখরুলের। মির্জা ফখরুল সংসদে আসলে ভালো হতো, সংসদটা আরও প্রাণবন্ত হতো। তিনি দল এবং দেশের হয়ে অনেক ধরনের কথাও বলতে পারতেন।’ মির্জা ফখরুলের মতো নেতা যেটা পারবেন, অন্যেরা সেটা পারবেন কি না- এ নিয়েও প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বার বার ভুল রাজনীতির কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলামের মতো নেতারাও জাতির সামনে হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির দেউলিয়াত্ব। তবে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, ‘বিএনপির নির্বাচিত সব সংসদ সদস্যই যখন এলো, তখন ফখরুল এলো না, এটা কি কৌশল হলো, সেটা তো বুঝলাম না।’
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জন বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন