নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগ সভাপতি চোখের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হার্টের বাইপাস সার্জারি করে এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। দলের দুই শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতি হঠাৎই যেন ‘এতিম’ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নতুন নয়। রাষ্ট্রীয় নানা কাজে তাঁকে দেশের বাইরে যেতে হয়। কিন্তু বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেনো দেশের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন। দল এবং সরকার পরিচালনার নানা পরামর্শ তিনি দূরদেশ থেকেও নিয়মিত নিয়মিত দিতেন। মূলত: দল এবং সরকার পরিচালিত হতো তারই নির্দেশে। এরমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে ই ফাইলিং শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে বিদেশে থাকলেও জরুরী ফাইলও তিনি নিষ্পত্তি করতেন। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি গেছেন চিকিৎসার জন্য। আজ লন্ডনে তিনি চিকিৎসককে দেখিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার তাঁর ডান চোখে ছানি অপারেশন হতে পারে। চিকিৎসকরা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি যেন কথাবার্তা না বলেন। চোখের কাজ তো পুরোপুরি বন্ধ। আগামী এক সপ্তাহ এভাবেই থাকতে হবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে। পূর্ণ বিশ্রাম। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে মাহাবুবুল আলম হানিফকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সভাপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেয়া হয় না আওয়ামী লীগে।
ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগের সর্বময় ক্ষমতা দলের সভাপতির উপরই। অন্যদের ভূমিকা নিতান্তই গৌণ। দলীয় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন সভাপতিই। অন্যরা তার নির্দেশ পালন করেন মাত্র। এমনকি, কখন বিরোধিদলের কি সমালোচনা করতে হবে, সেটাও আওয়ামী লীগ সভাপতিই বাতলে দেন। আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় বিষয়ে সরাসরি নির্দেশনা দিতেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। কাদের অসুস্থ হবার পর তিন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে ভালো্ যাচ্ছিলো দল। গত ১০ বছরে দলে শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। কেউ কোন সিদ্ধান্ত নেন না বা নিতে ভয় পান। এমনকি কখন কি বলতে হবে, সে বিষয়েও অনেক নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতির পরামর্শ নেন। এরকম অবস্থায় খানিকটা হলেও অসহায় অবস্থায় পরেছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় দলের মধ্যস্তরের নেতাদের যোগ্যতা পরীক্ষাও বটে। শুধু দল কেন? সরকারের তাবৎ জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একাই নেন প্রধানমন্ত্রী। টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারে এবার প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভরতা আরো বেড়েছে। অধিকাংশ নবীন মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের ছোটখাট সিদ্ধান্তের জন্যও তাকিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা না পেলে এদের কাজও থামকে যায়।
কিছুদিন ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবসরের কথা বলছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আর প্রধানমন্ত্রী হতে চান না।’ কিন্তু শেখ হাসিনার অনুপস্থিতির মাত্র দুই দিনের মাথায় বোঝা গেল তিনি কতটা অপরিহার্য- দলের ও দেশের জন্য। তার ক’দিনের অনুপস্থিতি দলকেই শুধু এতিম করে দেয় না, দেশের কর্মকাণ্ডকেও স্থবির করে দেয়। এজন্যই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, শেখ হাসিনার এখনো কোন বিকল্প নেই।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।