নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০১৯
ছাত্রলীগ নিয়ে কিছুদিন ধরেই একটা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্যই ছাত্রলীগের সম্মেলনের দীর্ঘদিন পর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। এই নাম ঘোষণার দীর্ঘ এক বছর পর আজ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলো। উল্লেখ্য যে, জাহা্ঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে চারজন আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্য। জাহা্ঙ্গীর কবির নানককে দায়িত্ব দেওয়ার আগে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে কমিটির খসড়া দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরোধের কারণে কমিটির খসড়া তালিকা তৈরী করতে তারা ব্যর্থ হয়। এরপরই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দায়িত্ব দেন জাহাঙ্গীর কবির নানককে। জাহাঙ্গীর কবির নানক বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃবৃন্দর সঙ্গে আলাপ আলোচনার বৃত্তিতে ২৭১ জনের একটি তালিকা তৈরী করেছিলেন। পয়লা মে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই তালিকা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী এই তালিকাকে তাৎক্ষনিকভাবে অনুমোদন না দিয়ে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে দেন।
গোয়েন্দা সংস্থাই এটি অনুসন্ধান করে এবং গোয়েন্দা তদন্তে ঐ তালিকা থেকে ৫৭ জনের ব্যাপারে আপত্তি জানায়। এর কারণ হলো তাদের বিয়ে করা, ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং বিভিন্ন রকম সন্ত্রাস, টেণ্ডারবাজ, চাদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা। জানা গেছে যে, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার পর তিনি তার নিজস্ব টিমের মাধ্যমে ৭০ জনের ছাত্রলীগের তালিকা তৈরী করেন। যে তালিকার মধ্যে রয়েছে মেধাবী শিক্ষার্থী, যারা ছাত্রলীগ করলেও ছাত্রলীগের নেতৃস্থানীয় নন। কিন্তু তারা ভালো শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এরকম ৭০ জন শিক্ষার্থীকে তিনি বুঝে নেন। এদেরকেও কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এদের অনেকের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর আলাপ করেছেন। যাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, সার্বক্ষনিকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে। দলের মধ্যে যখনই কোন বিবেদ বা কোন্দল বা কোন রকম রেষারেষি তখন যেন তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ছাত্রলীগের যেন কোন বদনাম না হয় সেজন্য এই ৭০ জন সজাগ ও সচেতনভাবে থাকবে। তাদের কাছে ছাত্রলীগের যেকোন নেতার খারাপ কাজের খবর যখন পাবেন, সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানায়। প্রয়োজনে তা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে জানাবে। মূলত এরা হলো ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটির ওয়াচআপ। মূলত আওয়ামী লীগ গত ১০ বছর ধরে ক্ষমতায়। এই ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের প্রধান মাথা ব্যাথার কারণ হচ্ছে ছাত্রলীগ। কমিটি গঠন করার পরই দেখা যায় যে, বিভিন্ন নেতারা নানা রকম অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেন। তাই এবার ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়েছে অনেক যাচাই বাছাই করে। চুড়ান্ত কমিটি গঠনের পর আরো ৭০ জনকে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে পছন্দ করে কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করেছেন। যারা আসলে ছাত্রলীগের যেন কোন বদনাম না ঘটে এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন অনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িয়ে না পরে তা তদারকি করবে এবং সেখানে তারা একটি ওয়াচটক হিসেবে কাজ করবেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।