নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০১৯
বগুড়া উপনির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক জিয়া। লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বার্তা পাঠিয়েছেন যে আগামী ২৪ জুন অনুষ্ঠেয় উপ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। একই সঙ্গে তারেক জিয়া সংরক্ষিত নারী কোটায় বিএনপি যে একজন সংসদ সদস্য পাবে তারও মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। জানা গেছে, বগুড়া-৬ আসনের উপ নির্বাচনে এবং সংরক্ষিত নারী আসনে তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। কিন্তু কে উপ নির্বাচন করবেন আর কে সংরক্ষিত কোটায় নির্বাচন করবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অবশ্য এরকম ভাবনাকে কল্পনাপ্রসূত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। তারা বলছেন, ডা. জোবায়দা তো পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। স্বামীর সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে আছেন। ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভূক্ত নয়। তিনি কীভাবে প্রার্থী হবেন? অন্যদিকে সৈয়দা শর্মিলা তার দুই সন্তানের লেখাপড়া রেখে এখন দেশ রাজনীতিতে জড়াতে চান না। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ফখরুলের শপথ না নেওয়ার কারণ ছিল বগুড়ার অভ্যন্তরীন রাজনীতি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির মহাসচিব হলেও বগুড়ায় তার গ্রহণযোগ্যতা নেই। তিনি যদি শপথ নিতেন তাহলে বগুড়া বিএনপিতে বিদ্রোহ দেখা দিতো। এ কারণেই তাকে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বগুড়া- ৬ আসনে স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন দিয়ে, বিএনপির ঘাটিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আর সংরক্ষিত নারী কোটায় এখন সক্রিয় কোন নারী নেত্রীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
কিন্তু তারেক জিয়ার এই সিদ্ধান্ত যখন বিএসএমএমইউ-তে চিকিৎসাধীন বেগম জিয়ার কাছে পৌছে তখন তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন,‘ এই উপনির্বাচন করে কি হবে? এতে বিএনপির কি লাভ হবে!’ গতরাতেই বেগম জিয়ার বার্তা নিয়ে বিএনপিপন্থী একজন চিকিৎসক স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য ঐ চিকিসককে বলেন‘, বিএনপিতে কিভাবে সিদ্ধান্ত হয় তার কিছুই আমরা জানি না। এখন যা হচ্ছে তা স্রেফ আত্মঘাতি।’ তারা এব্যাপারে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেন। মির্জা ফখরুল গতকাল ছিলেন ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই চিকিৎসক বেগম জিয়ার বার্তা পৌঁছে দেন। বেগম জিয়ার মনোভাবের সংগে একমত পোষণ করলেও মির্জা ফখরুল বলেন ‘ আমার এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। তারেক সাহেবের নির্দেশই বিএনপিতে শেষ কথা। এটা না মেনে উপায় কি? ঐ চিকিৎসক মির্জা ফখরুলকে বলেন ‘ আপনি কার বিএনপি করেন ম্যাডামের না তারেক সাহেবের?’ উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন ‘ বিএনপি যখন দুটো হবে, তখন আমি রাজনীতিই ছেড়ে দিব। এখনও রাজনীতি করছি, বিএনপিকে অখণ্ড রাখতেই।‘ কিন্তু একাধিক সুত্র বলছে, এবার বেগম জিয়া উপনির্বাচনের ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। তাই বিএনপিতে বগুরা-৬ উপনির্বাচন নিয়ে নতুন নাটক আসন্ন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।