নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৫ মে, ২০১৯
গত ২৯ এপ্রিল বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেওয়ার পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ এমনকি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বান করা যাচ্ছে না। কারণ স্থায়ী কমিটির নেতারা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছেন না। কিন্তু পাঁচ তারকা ওয়েস্টিনে ইফতার বলে কথা! যেই ওয়েস্টিনে ইফতারের আয়োজন করে কূটনীতিকদের দাওয়াত দেওয়া হলো, তখন বিএনপি নেতারা তাদের বিভেদ ভুলে কূটিনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ইফতার মাহফিলে যোগ দিলেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া ওই ইফতার অনুষ্ঠানে ছিলেন মির্জা ফখরুলের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ। যাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি এমনকি কথা বলা বন্ধ। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ঐক্যফ্রন্টের পতন চায় যে বিএনপি নেতা, সেই মেজর হাফিজ উদ্দিনও এই ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়েছিল।
বিএনপি নেতারাই বলছেন যে, বিএনপি নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান না করে সবসময় কূটনীতিকদের ওপর নির্ভরশীল হয়। দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কূটনীতিকদের কাছে নালিশ করে। আর এখন বিএনপি দেশের সমস্যা নয়, নিজেদের দলের সমস্যা মেটাতেই কূটনীতিকদের দ্বারস্ত হবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।