ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার সেরা দশ সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০১৯


Thumbnail

আর মাত্র দুদিন পর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্নের ৩৮ বছর পূর্ণ হবে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক প্রতিকুল ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পরিবেশে। এই ৩৮ বছরে তাঁকে রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উৎরাই পার করতে হয়েছে। নানারকম বিপদসংকুল পরিবেশ অতিক্রম করেই আজকে তিনি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আর যাই হোক শেখ হাসিনার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর  ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব আজ। আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো রাজনীতিবিদ হিসেবে শেখ হাসিনার সেরা দশটি সিদ্ধান্ত। দেশবরেণ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়েই আমরা এই সেরা দশ সিদ্ধান্ত নির্বাচন করেছি। এই দশ সিদ্ধান্ত শুধু শেখ হাসিনার জীবনের রাজনৈতিক গতিপথ পরিবর্তন করেনি বাংলাদেশের রাজনীতিতেও এক নতুন মেরুকরণ ও বিন্যাস তৈরি করেছে। আসুন দেখা যাক ‘বাংলা ইনসাইডার’ বিবেচনায় শেখ হাসিনার সেরা দশ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত-

১. আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করাঃ  ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ হয়ে পরেছিল বিদ্ধস্ত ও হতবিহ্বল। কোন্দলে আবদ্ধ দলের মনোবল হয়ে গিয়েছিল চূর্ণ। এরকম একটি পরিস্থিতিতে নেতৃত্বশূন্য আওয়ামী লীগের হাল ধরার জন্য আহ্বান জানানো হয় শেখ হাসিনাকে। তখন তিনি বিদেশে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু যখন তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়া হয় তখন তিনি নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। শুধু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে নয় বলা হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে এটি সবচেয়ে বড় এবং সাহসী সিদ্ধান্ত। যেখানে পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশে ফিরে আসা শুধু মৃত্যুর ঝুকিই নয় বরং আত্মহত্যারও সামিল। এছাড়া তিনি নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন কতটা প্রতিকূল পরিবেশে তাঁকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। আজ ৩৮ বছর পরও ফিরে তাকালে সেটা কল্পনা করাও দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই আমাদের বিবেচনায় এটি তাঁর সবচেয়ে সেরা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

২. সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনঃ  শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কিছুদিন পরই মারা যান জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়ে ক্ষমতায় বসেন উর্দি পরা আরেক একনায়ক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তারপরই শুরু হয় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আন্দোলনে এক পর্যায়ে যুক্ত হন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনের পর স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ৯১এর নির্বাচনে অভাবনীয়ভাবে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় যা ছিল অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য। পরাজিত হলেও তিনি তাঁর নীতি ও আদর্শ অনুযায়ী কাজ করতে থাকেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবী করেন। সংসদীয় গণতন্ত্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার এবং ৭২ এর সংবিধানে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রবর্তিত ছিল। পরবর্তীতে এই ব্যবস্থা থেকে আমরা সরে আসি এবং  জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি জানতেন সংসদীয় গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই এবং বিরোধী দলে থেকেই সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা পুনপ্রবর্তনের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। কাজেই এটা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

৩. প্রচলিত আইনে জাতির পিতা হত্যাকান্ডের বিচারঃ ৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকার অনুযায়ী জাতির পিতার হত্যাকান্ডের বিচার শুরু করে। শেখ হাসিনা চাইলেই বিশেষ ট্রাইবুনাল করে বা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল করে জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে পারতেন কিন্তু তিনি সেসব না করে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করেন। যা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার এক  অনবদ্য নজির এবং যা দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বলা হয় যে, শেখ হাসিনা যে গনতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল তাঁর প্রমাণ এটি।

৪. একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারঃ
৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে যেটা তিনি পারেননি এবং যা ছিল এদেশের মানুষের অনেক আকাংখিত বিষয় তা হলো একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে তিনি ৭১ এ যারা গনহত্যা , লুট, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের সংগে জড়িত ছিল তাঁদের বিচার করা। ক্ষমতায় এসে আন্তার্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল অনুযায়ী তাঁদের বিচার শুরু করে দেশে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুন:প্রতিষ্ঠায় তিনি সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

৫. কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠাঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল তৃণমূল পর্যন্ত দেশের সকল নাগরিকের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তা করে যেতে পারেননি। শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতা গ্রহণ করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়ে অনেকদুর কাজ এগিয়ে নিলেও বিএনপি জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করেন জনগণের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। কমিউনিটি ক্লিনিক শুধু বাংলাদেশে নয় তৃণমূলের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় একটি রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে এবং সারাবিশ্বে একটি অনন্য স্বাস্থ্য মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। কাজেই কমিউনিটি ক্লিনিক শেখ হাসিনার আরেকটি বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

৬. ডিজিটাল বাংলাদেশঃ ২০০৮ সালে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দেয়। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়টি ছিল অস্পষ্ট, এর রুপ কি হবে তা সম্পর্কে কারো কোনো ধারণা ছিল না। অনেকে এটিকে কৌতুকে পরিণত করে। কিন্তু আজকে বাংলাদেশ সত্যি সত্যি ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। গ্রামে গঞ্জে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে। শুধু তাই নয় ইন্টারনেটে দ্রুত বর্ধনশীল দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। কাজেই  শেখ হাসিনার সেরা ১০ টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের একটি হলো বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া গ্রহণ।

৭. জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতাঃ ৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ঘোষনা ক্রেছিল যে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শূন্য সহিষ্ণুতা রয়েছে। কিন্তু প্রথম মেয়াদে সেটি আওয়ামী লীগ সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সেটি করে এবং তা হলো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি। এই নীতি গ্রহণ করে বাংলাদেশে যে ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নিতাবাদী সংগঠনের আশ্রয়স্থল ছিল, যে পকেটুগুলো ছিল সেগুলো সমূলে উৎপাটন করেন শেখ হাসিনা। ফলে বাংলাদেশ যে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণু সে বার্তাটি সারা বিশ্বে পৌঁছে যায়। যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সাররাবিশ্বে উজ্জ্বল হয়। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির অন্যতম একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

৯. ভারতের সংগে সুসম্পর্কঃ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশী। শুধু মায়ানমারের কিছু অংশ ছাড়া পুরোটাই ভারত বেষ্টিত। ভারতের সংগে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে গাঁথা। কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি ভারত বিদ্বেষী মনোভাব জাগিয়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ভারতের সংগে রাজনোটিক আর্থিক বিভিন্ন খাতে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ফলে ভারতের সংগে পার্বত্যচুক্তি, ট্রানজিট, ছিটমহল বিনিময়সহ বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফলে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা পায়। যার ফলে দুইদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলিতা এবং সামাজিক সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে যা আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

৯. উন্নয়নের গনতন্ত্রঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেই বুঝেছিলেন গণতন্ত্র টেকসই হতে পারে না যদি মানুষের পেটে ভাত না থাকে। এজন্য উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি রাষ্ট্র যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে তাহলে কখনো গণতন্ত্র টেকসই হতে পারে না। সেজন্যই তিনি দেশকে টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মডেল গ্রহণ করেন। গত দশ বছরে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে।  গণতন্ত্রকে টেকসই করতে গেলে উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। এজন্যই তিনি স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন। তাই বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের বিস্ময়। উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের দ্রুত বর্ধিষ্ণু আটটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। উন্নয়নের গণতন্ত্রের মডেলের কারণেই বাংলাদেশে আজ স্থিতিশীল এবং উন্নয়ন যুগপতভাবে চলছে বলে মনে করা হয়।

১০. অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ চিরতরে রুদ্ধ করাঃ দ্বিতীয় মেয়াদে ২০০৯ সালে দায়িত্বগ্রহণ করেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেন। ৭২ সংবিধানের আলোকে সংবিধানকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেখানে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাংবিধানিকভাবে বৈধতা দেওয়ার সব প্রচেষ্টাই রোহিত করা হয়েছে। এটা একটা তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য এক অনন্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ। ফলে বাংলাদেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির চির অবসান ঘটেছে। এটা শেখ হাসিনার সেরা দশ সিদ্ধান্তের একটি।

বাংলা ইনসাইডার/এসআর 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এখনই ভারত বিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জন বা প্রকাশ্য ভারত বিরোধী কর্মসূচিতে এখনই যাবে না। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্তভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। গতকাল লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এই বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এখনই ভারত বিরোধী কর্মসূচি প্রয়োজন নেই। তবে বিভিন্ন স্থানে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতের বিরোধিতা করবে ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে, তাদের ব্যাপারে বিএনপি নির্লিপ্ত থাকবে। এমনকি ভারতের যে সমস্ত আগ্রাসন বা পক্ষপাতমূলক আচরণ সে ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট থাকবে। বিএনপি বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য যে কোন দেশের সমালোচনা করবে। তবে কোন দেশের পণ্য বর্জনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মসূচি নেবে না বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে একধরনের ভারত বিরোধিতার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বিএনপির অনেক নেতাই প্রকাশ্যে বলেন যে, আওয়ামী লীগকে ভারত ক্ষমতায় রেখেছে এবং ভারত একটি অগণতান্ত্রিক সরকারকে বাংলাদেশে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির বেশ কিছু নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে গত ২০ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে ফেলে আলোচনায় আসেন। 

এর আগে বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত পিনাকী ভট্টাচার্য তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার এই পণ্য বর্জনের ডাকে তেমন কোন সাড়া না পড়লেও পিনাকীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবং পিনাকীর নেতৃত্ব মেনে রুহুল কবির রিজভীর এই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বিএনপির মধ্যে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বিষয়টি নিয়ে বিএনপি নেতাদের অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। যেদিন রিজভী ভারতীয় পণ্য পুড়ানোর নাটক করেন তার ঠিক চারদিন পর ২৪ মার্চ বিএনপি ওয়েস্টিন হোটেলে বিদেশি কূটনৈতিকদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। সেই ইফতার অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন এবং এটি বিএনপির অনেক জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি বলেই উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি দলের স্থায়ী কমিটির সভা পর্যন্ত গড়ায় এবং এখানে অনেকেই এই সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেন। অবশ্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তখন রিজভীর পক্ষেই অবস্থান নেন। তিনি জানান, যে রিজভী যেটা করেছেন সেটি তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে এটি করেছে। এটি দলীয় অবস্থান নয়।

তবে এরপরে বিএনপির মধ্যে অনেক সিনিয়র নেতা প্রশ্ন করেন যে, একজন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি দলীয় অবস্থানের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত অবস্থান নিতে পারেন কি না? এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে গতকাল রাতে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন যে, তারা আপাতত কোন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে যাবে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ ভারত বিরোধিতা করে বা ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করে সেগুলো নিয়ে বিএনপি নীরব থাকবে। দলগতভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কোনো ডাক বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে না বলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে- সীমান্ত হত্যা, ভারতের ভুল নীতি বা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের আগ্রাসন ইত্যাদি ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিএনপি এই সমস্ত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী, সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রতিটি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান অতীতে নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে। তবে ভারতের পণ্য বর্জন বা ইন্ডিয়া আউটের মতো কোনও কর্মসূচিতে বিএনপি আপাতত যাবে না।

তাহলে বিএনপি নেতারা কী ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে ফেলবে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেন, আমরা কোন দেশের পণ্য পুড়ানো বা কোন দেশের পণ্য বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। এ ধরনের কর্মসূচিতে বিএনপি যাচ্ছে না।

ভারত বিরোধী   বিএনপি   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে জিয়াউর রহমানও লজ্জা পেয়ে যেতেন’

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


বিএনপি   ড. হাছান মাহমুদ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি ইফতার পার্টিতেও মিথ্যাচার করছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।

তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।

এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।


ওবায়দুল কাদের   রাজনীতি   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার কি ব্যারিস্টার খোকনও বিদায় নেবেন বিএনপি থেকে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির জনপ্রিয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন। শুধু তিনি নন, তার সঙ্গে আরও কয়েকজন এবারের নির্বাচনে চমক দেখিয়ে আওয়ামীপন্থী প্যানেলকে ধরাশায়ী করে সুপ্রিম কোর্টে জায়গা করে নিয়েছেন।

এ ধরনের পেশাজীবীদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে হারিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করা একটা বিরাট অর্জন এবং ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সেই অর্জনটি করেছেন। কিন্তু তার এই অর্জনের পরপরই বিএনপির মধ্যে তাকে নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। মাহবুব উদ্দিন খোকন কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন তা নিয়েও বিএনপির কোনো কোনো উগ্রবাদী নেতা প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে বিএনপি সব ধরনের পেশাজীবীদের নির্বাচন বর্জন করছে সেখানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কেন খোকন অংশগ্রহণ করল—এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির কেউ কেউ। 

অবশ্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট কৌশলগত কারণে বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই কারণেই তিনি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে একজন জনপ্রিয় মুখ। তিনি একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিলেন। বিএনপির বাইরেও তার একটা প্রভাব বলয় রয়েছে এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে তিনি স্রোতের বিপরীতে থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তার জনপ্রিয়তা বিএনপির নেতারাই মেনে নিতে পারছেন না। খোকন যদি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সভাপতি হন, তাহলে অনেক বিএনপি নেতাই তার পিছনে চলে যাবে—এ রকম চিন্তা থেকেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এই নির্বাচনকে বয়কট করার ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এক চিঠির মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে পদ গ্রহণ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন খোকন যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বেড়ে ওঠা একজন আইনজীবী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে তার এক ধরনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। কারণ সুপ্রিম কোর্ট কোন জাতীয় নির্বাচন নয়। এখানে যে সমস্ত আইনজীবীরা তাকে ভোট দিয়েছেন, তারা সকলেই বিএনপির কর্মীও নন, বরং এখানে বেশ কিছু সাধারণ ভোটার রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি কোন দলই সমর্থন করেন না। তারা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ভোট দিয়েছেন। এখন যদি মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ না করেন সেটা হবে তাদের সঙ্গে প্রতারণা। আর এটি মাহবুব উদ্দিন খোকন করতে চাননি। আর এটি করতে না চাওয়ার কারণে তিনি আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে বিএনপির মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয় সেটাই দেখার বিষয়। 

বিএনপি যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। অনেকেই মনে করেন যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং মির্জা ফখরুল বা অন্য নেতারা যদি সংসদে যান তাহলে তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যাবে। সে কারণেই তারেক জিয়া নির্বাচন থেকে তাদেরকে দূরে রাখছেন। একইভাবে যদি মাহবুব উদ্দিন খোকনও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হন সেক্ষেত্রে বিএনপির অনেক অপাঙ্ক্তেয় গুরুত্বহীন অজনপ্রিয় নেতাদের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাবে এবং তারা খোকনের কাছে ম্লান হয়ে যাবেন—এরকম বিবেচনা থেকে তাকে নির্বাচন দায়িত্ব গ্রহণ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাহবুব উদ্দিন খোকন এটি মানছেন না। এরকম পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপির টার্গেট হন কিনা সেটা দেখার বিষয়। অতীতে দেখা গেছে যে, বিএনপিতে যারাই জনপ্রিয় হয়েছেন তাদেরকেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বা দলে কোণঠাসা করা হয়েছে। এবার কি মাহবুব উদ্দিন খোকনের পালা?

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি   সভাপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফ্যাসিবাদী শক্তি পুরো জাতির ওপর চেপে বসে আছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা কঠিন সময়, একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি। ফ্যাসিবাদী শক্তি সমস্ত জাতির ওপর চেপে বসে আছে। আমাদের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো ব্যর্থ করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে বিএনপির উদ্যোগে ওই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এক দফার আন্দোলনে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সম্মিলিত করে। আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কাজ করছি। সে আন্দোলনে বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে মানুষ আজ মজলুম। পুরো দেশের মানুষ আজ জুলুমের শিকার।

তিনি বলেন, লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ্।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ওই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আব্দুল হাই শিকদার, সাহেদা রফিক, বিজন কান্তি সরকার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জহির উদ্দিন স্বপন, ডা. রফিকুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন নসু, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, মুনির হোসেন, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, তাঁতি দলের আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ নেছারুল হক, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ। 

এছাড়াও অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরোয়ার, মাওলানা আব্দুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ১২ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার (একাংশ) রাশেদ প্রধান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির কারী আবু তাহের, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার (একাংশ) এস এম শাহাদাত, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আবুল কালাম আজাদ, ডা. শামসুল আলম, এনডিএমের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফাতিমা তাসনিম, হাসান আল মামুন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

এছাড়াও ইফতার মাহফিলে পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, খুরশিদ আলম, ড্যাবের ডা. আব্দুস সালাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার পার্টি   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন