নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৯
উপনির্বাচন নিয়ে নতুন করে সংকট তৈরী হয়েছে বিএনপিতে। উপনির্বাচন এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন নিয়ে নতুন সংকট তৈরী হয়েছে বিএনপিতে। সবচেয়ে বেশি সংকট তৈরী হয়েছে সংরক্ষিত মহিলা আসনের কোটা নিয়ে। যদিও বিএনপি থেকে বলা হয়েছে তারা এ ব্যাপারে বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন। কিন্তু মহিলা কোটায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য একাধিক প্রার্থী দৌঁড়ঝাপ করছে। উল্লেখ্য যে, জাতীয় সংসদে মহিলা কোটায় বিএনপির ভাগে জুটেছে মাত্র একটি আসন। এই একটি আসন কে পাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে যুদ্ধ। যদিও বিএনপির একটি বড় অংশ এই ২৪ জুন সংরক্ষিত আসনে বগুড়ায় উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে। কিন্তু যেহেতু লন্ডন থেকে তারেক জিয়া নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সংরক্ষিত আসনেও মনোনয়নের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। সেজন্য বিএনপি এই উপনির্বাচন ও নারী কোটাতেও প্রার্থী দিবে। সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমে আলোচিত ছিল যে, জোবায়দা রহমান বা সৈয়দা শর্মিলা রহমান হয়তো প্রার্থী হবেন। কিন্তু সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে পাওয়া গেছে যে, তারা কেউই এই সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হবেন না। এই মুহূর্তে এমপি হওয়ার কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। অন্যদিকে বিএনপিতে যারা ক্রিয়াশীল আছেন, তাদের মধ্য থেকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, এনিয়ে চলছে নানারকম কানাঘুষা এবং নানারকম তৎপরতা।
এখানে আলোচনায় আছেন জাতীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি মির্জা আব্বাসের স্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে অনেক সক্রিয় দেখা গেছে। কিন্তু তিনি জাতীয় নির্বচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পরাজিত হয়েছিলেন। এই বিবেচনায় তাঁকে আবার সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়া হবে কিনা সেটি বিবেচনার বিষয়। এছাড়া মহিলা আসনে কে এম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে শামা ওবায়েদকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। শামা ওবায়েদও এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পরাজিত হয়েছিলেন। এছাড়াও আলোচনায় আছেন রুমিন ফারহানা যিনি ভাষা সৈনিক অলি আহাদের মেয়ে এবং বিএনপিতে সক্রিয় রাজনীতিবিদদের একজন। সবকিছুই নির্ভর করবে তারেক জিয়া কীভাবে চাইছেন বা কাকে চাইছেন তাঁর উপর। তবে যাকেই নিয়োগ করা হোক না কেন সেটি যে তারেক জিয়ার ইচ্ছেতেই হবে তা নিশ্চিত। অন্যদিকে উপনির্বাচনে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে যে বগুড়া-১ আসনে কোনো নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বা বগুড়া বিএনপিতে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেরকম কাউকেই বগুড়া-১ আসনের প্রার্থীতা দেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন দাড়িয়েছে যে, উপনির্বাচনের মাধ্যমে এবং সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন দিয়ে যে সংসদীয় বিএনপি হবে সেই সংসদীয় বিএনপি কতটা দলীয় অনুগত হবে কারণ দলের নেতৃবৃন্দকে চ্যালেঞ্জ দিয়েই তাঁরা সংসদে যোগ দিয়েছিলেন এবং সংসদে যোগদানের ব্যাপারে তাঁদের যদি সম্মতি নাও দেয়া হতো তাহলেও তাঁরা দল ভেঙে সংসদে যোগ দিতেন। অনেকেই মনে করেন যে, দল ভাঙা রোধ করতেই তারেক জিয়া এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটাই যদি হয় এবং বাকী দুজন যদি সংসদ সদস্য হিসেবে যোগদান করেন সেক্ষেত্রে বিএনপির কি লাভ হবে? নাকি এটি বিএনপিকে নতুন সংকটের মধ্যে ফেলবে সেটিই দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন