নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০১৯
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্বাচন হবে ভোটে। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নয়। তৃনমূল পর্যন্ত সকল স্তরে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যেন দলের মধ্যে তৃনমূল থেকে জনপ্রিয়, ত্যাগী এবং সত্যিকারের কর্মীরা যেন নেতৃত্বে উঠে আসতে পারে সেইজন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিলর নির্বাচনের প্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতা আনা হবে এবং এখানে এমপি এবং মন্ত্রিদের খবরদারি বন্ধ করা হবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কাউন্সিল অধিবেশনের দিকক্ষণ এখনো চুড়ান্ত হয়নি, তবে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ইতিমধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে, অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন যেন দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। ঈদের পর যেন আওয়ামী লীগ যে সমস্ত জেলা উপজেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মেলন দীর্ঘদিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়নি। সেই সম্মেলনগুলো সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ঈদের পরপরই তারিখ নির্ধারনের জন্য জেলা এবং উপজেলা কমিটিগুলোকে আহ্বান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে যে, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এই স্বল্প সময়ে কাউন্সিল সম্ভব নয়। তবে জেলা পর্যায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ২৮টি জেলায় ঈদের পর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাউন্সিল সম্পন্ন হবে। এই জেলা কাউন্সিলগুলোতে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী যে নীতিমালা তৈরী করেছেন সেই নীতিমালার মধ্যে ৫টি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে:
১. জেলা পর্যায়ে যে সম্মেলনগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেই সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে ভোটের মাধ্যম। ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচন করতে হবে আপোষরফা এবং এমপি-মন্ত্রিদের চাপিয়ে দেওয়া কমিটিকে নিরুৎসাহিত করা হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিকসহ অন্য নেতৃবৃন্দরা নজড়দারি রাখবেন।
২. নেতৃত্বে বিএনপি-জামাত থেকে আসা কিংবা অন্যদল থেকে আসা কিংবা নতুন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই যেন নেতৃত্বে না আসতে পারে সে ব্যাপারে কেন্দ্রের নজরদারি থাকবে এবং কেন্দ্র এ ব্যাপারে তদারকি করবে। উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালের পূর্বে যারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে তাদেরকেই নেতৃত্বের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হবে।
৩. তৃতীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে মন্ত্রী এমপিরা জেলা পর্যায়ের নেতা নির্বাচিত হতে পারবেন না। জেলা পর্যায়ের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদ তাঁদের দেয়া হবে না।
৪. কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা কমিটিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলা কমিটিতে থাকতে পারবেন না।
৫. জেলার নেতৃত্বের একটা বড় অংশ আসতে হবে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যেমন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ইত্যাদি থেকে।
এই পাঁচ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ের কাউন্সিল শুরু হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে অক্টোবরে যে জাতীয় কাউন্সিল তার প্রক্রিয়া শুরু করবে। এই সম্মেলনগুলোর মাধ্যমে যারা জাতীয় পর্যায়ের কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন সেটাও যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয় সে ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসআর/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।