নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ১৯ মে, ২০১৯
মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ‘রদ্দি মাল’ বলেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সম্প্রতি বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেবে এই নিয়ে বিএনপিতে চলছে নানা রকম আলোচনা। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে মান্নাকে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মান্না যদি বিএনপিতে যোগ দেন তবে তাকে বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলেও তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে টেলিফোন করে তারেক জিয়ার প্রস্তাবের কথা বলেন।
মান্না বলেন যে, ‘আমি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কোনো চিন্তা করছি না। যদি ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করার চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে ঐক্যফ্রন্টের হয়ে বগুড়া-৬ আসনে আমি প্রার্থী হতে পারি।’ মাহমুদুর রহমান মান্না এ বিষয়টি গণমাধ্যমেও প্রকাশ করেছেন।
এ নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মাহমুদুর রহমান মান্নারা হলেন রদ্দি মাল। যাদের আওয়ামী লীগ থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। যাদের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। নিজের নির্বাচনী এলাকায় কোনদিন বিজয়ী হতে পারেনি। তাদেরকে নেওয়ার জন্য বিএনপি নতজানু হচ্ছে। এরকম রদ্দিমালের প্রতি ভাইয়ার (তারেক জিয়ার) কেন এতো ঝোক, সেটাই বোধগম্য নয়।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।