নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১৯ মে, ২০১৯
গঠনের সাড়ে চার মাসের মাথায় মন্ত্রিসভায় মাইনর সার্জারী করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটা রুটিন কাজ। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রুপ নিয়েছিল। বিশেষ করে যেসব মন্ত্রনালয়ে রাজনীতিবিদ এবং ব্যাবসায়ী মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন সেসব মন্ত্রনালয়গুলোতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দ্বন্দ্বে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কথাই ধরা যাক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক গত মেয়াদে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এবার তাঁকে একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এবার মন্ত্রিসভার সারপ্রাইজ প্যাকেজ ডাঃ মুরাদ হাসান। প্রতিমন্ত্রী হলেও রাজনৈতিক মাঠ থেকে উঠে আসায় তার কাছে কর্মীরা আসতো বেশী। নানারকম তদ্বিরের ভীড় থাকতো তার অফিস কক্ষ ঘিরে। অন্যদিকে জাহিদ মালেক কর্পোরেট সংস্কৃতি থেকে উঠে আসা ব্যাক্তি। রাজনৈতিক অঙ্গনের লোকদের তিনি পাত্তা দেন না। নয়টা পাঁচটা অফিস করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুরুতেই প্রতিমন্ত্রীর বিরোধ শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রীকে না জানিয়েই স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনেকগুলো আদেশ দেন। প্রতিমন্ত্রী এসবে আপত্তি করেছিলেন। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই বিরোধের খবর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের একটি। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনের আগে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতো দলের সাধারণ সম্পাদককে। এবার একেবারে নতুন মুখ তাজুল ইসলামকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা ছিলো এবার মন্ত্রিসভার অন্যতম চমক। তাজুল ইসলাম ব্যাবসায়ী। রাজনীতির তৃনমূলের সঙ্গে তার যোগাযোগ কম। এতা বড় মন্ত্রণালয় চালাতে তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। সব ফাইল তার মাধ্যমে অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাজুল ইসলাম। ফলে, স্থবির হয়ে পরেছিল তৃনমূলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী মন্ত্রণালয়টির কার্যক্রম। প্রতিমন্হত্রীর সঙ্গেও তার মতাদ্বৈততার খবর চাউর হয়েছিল। এজন্য দুজনকে আলাদা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরফলে তাজুল ইসলামের চাপ কিছুটা কমলো। এখন তাকে আর পল্লী উন্নয়ন দেখতে হবে না। অন্যভাবে বলা যায়, তার ক্ষমতা খন্ডন করা হলো। অন্যদিকে স্বপন ভট্টাচার্যের ক্ষমতা বাড়লো। পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় ৩ বিভাগে এখন তার একক নেতৃত্ব এলো।
ডাক টেলিযোগাযোগে এবং তথ্য প্রযুক্তিতে দুজনই পুরনো। মোস্তফা জব্বারকে যখন পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়অ হয়েছিল তখন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জুনায়েদ আহমেদ পলক তাকে বরণ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু দিন যতোই বাড়তে থাকে ততোই পলক আর মোস্তফা জব্বারের দূরত্ব বাড়ার খবর পাওয়া যায়। পলক কিছু কিছু বিষয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। অন্যদিকে মোস্তফা জব্বারের তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগকে অবাক করেছিল। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে পলক মন্ত্রণালয়ে তার কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ছিলেন। একরণেই দুটি বিভাগ দুইজনকে ভাগ করে দেওয়া হলো। কিন্তু এই বাটোয়ার ফলে কি মন্ত্রীদের কাজের গতি আসবে? অন্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রীদের দ্বন্দ্ব কমবে?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।