নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২২ মে, ২০১৯
দিন যতই যাচ্ছে, অবসরের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতির অবস্থান আরও শক্ত হচ্ছে। সুযোগ পেলেই তিনি তার কাছে সাক্ষাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবসরের বার্তা দিচ্ছেন। গত ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন দলের নেতাকর্মীদের তিনি বলেছেন, ‘এতদিন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন একটু বেশিই বাড়াবাড়ি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন এমন করেছেন এমন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কেবল অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত নন, অবসরের একটা রোডম্যাপও চূড়ান্ত করেছেন। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী:
১. আগামী ২০২৩ সালে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন না। ফলে ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার বা বিরোধীদলে থাকবেন না বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ টার্ম।
২. আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় কাউন্সিলে শেষ পর্যন্ত হয়ত তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে থাকবেন। এটা থাকার একমাত্র কারণ হলো জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপন। দলের কোনো নেতাকর্মীই এর আগে দলের সভাপতির পদ থেকে শেখ হাসিনার সরে যাওয়া মেনে নেবে না। এজন্যই শেখ হাসিনা এ বছরেই কাউন্সিল করার পক্ষে। যেন ২০২৩ এর শেষের জাতীয় নির্বাচনের আগে আরেকটি কাউন্সিল হয়। সেই কাউন্সিল থেকে তিনি বিদায় নেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেন। দলের একজন নেতাকে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তোমরা তো এবার আমাকে ছাড়বে না, কিন্তু এরপরের বার আমাকে আর পাবে না।’
৩. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল অবসরই নেবেন না, তার উত্তরাধিকার হিসেবেও কাউকে মনোনয়ন দেবেন না। আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের একাধিক নেতাকে স্পষ্ট করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাই আমি কেন ঠিক করবো, এরপরে কে নেতা হবে? এটা দলের কর্মীরা ঠিক করবে। এটা নির্ধারিত হবে কর্মীদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে। বেগম জিয়া যেমন তার পুত্র তারেক জিয়াকে নেতা বানিয়েছিলেন, তেমন কিছুর ধারেকাছেও যেতে চান না শেখ হাসিনা। তার পুত্র, কন্যা, বোন কিংবা বোনের ছেলেমেয়েরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নেবে এমন ভাবনা একদমই নেই। শেখ হাসিনা তাঁদের উৎসাহিত করবেন না আবার নিষেধও করবেন না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এটাই তিনি চান। কয়েকজন নেতাকে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারপর বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নেবে না। বরং তাঁরা দলের জন্য প্রয়োজনে কাজ করবে। কিন্তু শেখ হাসিনা ছাড়া যেমন আওয়ামী লীগ অচল, তেমনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্ব ছাড়া আওয়ামী লীগ অখণ্ড থাকবে তেমন বিশ্বাস করার লোক আওয়ামী লীগেই একটিও নেই।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।