নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২২ মে, ২০১৯
২০০১ সালের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক জিয়াকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছে। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে তাকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। তারেক জিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্যের দিনে রাজনৈতিক গবেষক এবং বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কেউ কেউ তারেক জিয়ার আজকের পরিণতি দেখেছিলেন। তারেক আগুনে বিএনপির সর্বনাশের পূর্বাভাসও দিয়েছিল কেউ কেউ। এরা বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে বলেছিলেন, এসব কারণে তারেক জিয়া কখনো ভালো নেতা হতে পারবেন না। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারেক জিয়ার যে দোষগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিসফাস আলোচনায় আসতো, যে সব দোষের কারণে তারেকের রাজনীতির আকাশে অনেকে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখেছিলেন, তার ১০টি এখানে উল্লেখ করা হলো-
১. শিক্ষার অভাব: এ যুগে রাজনীতির জন্য শিক্ষার প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা মানে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। বইপত্র, রাজনৈতিক নিবন্ধ পড়া ইত্যাদি। তারেক জিয়ার শিক্ষার অবস্থা যেমন নড়বড়ে, তেমনি অন্য পড়াশুনার প্রতিও তার আগ্রহ নেই।
২. নিজের অজ্ঞতা স্বীকার না করা: তারেক জিয়ার মধ্যে ছিল সবজান্তার ভাব। কোনো বিষয় না জানা থাকলেও কেউ যখন কোনো তথ্য দেয় তখন ‘হ্যাঁ হ্যাঁ জানি’ বলাটা তারেক জিয়ার বড় বদঅভ্যাস। এ কারণে এখন তারেক জিয়াকে কেউ কোনো তথ্য স্বাচ্ছন্দ্যে দেয় না। তার সবজান্তা স্বভাবের কারণে তার রাজনৈতিক উত্থান সম্ভব হয়নি।
৩. অর্থলোভ: তারেক জিয়া প্রচণ্ড অর্থলোভী। টাকার জন্য সে সবকিছু করতে পারে। অর্থলোভ তার রাজনৈতিক বিকাশের অন্যতম বাধা।
৪. অন্ধ বন্ধু প্রেমঃ তারেক জিয়া যখন ক্ষমতার চূড়ায় তখনই বিএনপির কেউ কেউ মন্তব্য করেছিলেন যে, বন্ধুরাই তারেককে ডোবাবে। তারেক জিয়া তার বন্ধুদের ব্যাপারে অন্ধ। বিএনপির কেউ কেউ বলেন, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি এবং লুটপাট সবই করেছে তার বন্ধুরা, নাম হয়েছে তারেক জিয়ার। বন্ধুদের কারণেই রাজনীতিতে কক্ষচ্যুত হয়েছেন তারেক জিয়া।
৫. অসৎ সঙ্গঃ তারেক জিয়ার চারপাশে যারা থাকেন তাঁরা প্রায় সবাই অযোগ্য অসৎ। এরা তাঁকে ভুল তথ্য দেয়, তোষামোদী করে। এদের দ্বারা পরিবেষ্টিত তারেক কখনও সুস্থ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
৬. সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধা: বিনয়ের অভাব তারেক জিয়ার এক বড় বৈশিষ্ট্য। দলের অনেক সিনিয়র নেতাই তারেক জিয়ার কাছে অপমানিত হয়েছেন। এদের কেউ কেউ তারেককে এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, সিনিয়রদের অপমান করে ভালো নেতা হওয়া যায় না।
৭. সঠিক লোক চিনতে না পারা: সঠিক লোক চিনতে না পারা রাজনীতিবীদের বড় দুর্বলতা। তারেক জিয়া তার ক্ষুদ্র রাজনৈতিক জীবনে কখনো সঠিক লোক চিনতে পারেননি। ভুল লোককে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন, এমনটাই মনে করেন বিএনপির অনেক নেতা। এক্ষেত্রে তারা উদাহরণ দেন, সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের। যাকে সাতজনকে ডিঙ্গিয়ে তারেক সেনা প্রধান করেছিলেন।
৮. আদর্শহীনতাঃ তারেক জিয়ার কাছে রাজনীতি হলো কূটকৌশল এবং অন্যকে ঠকানো। তারেক জিয়া কোনো আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে আসা ব্যাক্তি নন। এজন্যই রাজনীতিতে তার কাছে আদর্শ বলে কিছু নেই। এজন্য ক্ষমতায় যেতে যেমন ভারতের কাছে সব বিলিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, তেমনি আবার বিরোধী প্রতিপক্ষকে গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দিতেও কার্পণ্য করেন না।
৯. মিথ্যেবাদিঃ বিএনপিতে তারেকের সংগে কাজ করেছেন এমন অনেকে বলেন, তারেক অসম্ভব মিথ্যেবাদী। রাজনৈতিক আলোচনায় তিনি সত্যি বলেন খুবই কম। এরকম মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি কখনো রাজনীতিতে সফল হতে পারেন না।
১০. শারীরিক গঠনঃ তারেক জিয়ার শারীরিক গঠন নেতা হবার মত নয়। তার চেহেরা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নয়, এমনটাই মনে করেন অনেকে।
এসব কারণেই তারেক জিয়া রাজনীতিতে অসফল এবং তার ভবিষ্যৎ আন্ধকারাচ্ছন্ন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন