নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৪ মে, ২০১৯
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় আর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল। জাতির পিতার নাতি-নাতনি দুজনই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নিলেও রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় নন। তবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এই কাজে তাঁর সক্রিয়তা রাজনীতির চেয়ে অনেক বেশি দৃশ্যমান। মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল অটিজম নিয়ে কাজ করে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশের অন্য রাজনীতিবিদদের সন্তানরা কে কি করছেন? দেখা যায় বেশিরভাগ রাজনীতিবিদদের সন্তানরাই পরিনত বয়সে রাজনীতি থেকে দূরেই আছেন। তেমন কয়েকজনের খোঁজ দেওয়া হল:
ড. কামাল হোসেন: দুই মেয়ের জনক ড. কামাল হোসেন। বড় মেয়ে সারা হোসেন একজন ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে দিনা হোসেন চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করেন। দুই মেয়ের স্বামীই ব্রিটিশ নাগরিক।
তোফায়েল আহমেদ: তোফায়েল আহমেদের একমাত্র মেয়ে মুন্নী একজন চিকিৎসক। আর মন্ত্রীর জামাতা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই মেয়ের জনক। তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে এই প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত: তিন সন্তানের জনক তিনি। মেয়ে বেগম সামিনা মুহিত একজন ব্যাংকার এবং মুদ্রানীতি ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিউইয়র্কে কর্মরত। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত স্থপতি ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। আর ছোট ছেলে সামির মুহিত যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে শিক্ষকতা করছেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ: দুই মেয়ে, নাদিয়া নন্দিতা ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নাজিয়া সামান্থা ইসলাম বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তাঁরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছেন।
প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ: এক মেয়ে রীমা ইসলাম। পড়াশুনা ও কাজে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যুক্তরাজ্যের অন্যতম রিটেইল চেইন টেসকোর বড় পদে কর্মরত তিনি। সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর পর গুঞ্জন উঠেছিল তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। কিন্তু সে পথে হাটবেন বলে আপাতত মনে হচ্ছে না।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের জামাতা। তিনি ফরিদপুর জেলা থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন।
আসাদুজ্জামান নূর: সফল অভিনেতা থেকে হয়ে উঠেছেন একজন সার্থক মন্ত্রী। তাঁর ছেলে সুদীপ্ত আর মেয়ে সুপ্রভা। ছেলে লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ করছেন। আর মেয়ে এ লেভেল শেষে করেছেন। ডেইলি স্টারে লেখালেখি করেন মেয়ে সুপ্রভাত।
রাশেদ খান মেনন: এক মেয়ে ও ছেলের জনক তিনি। মেয়ে ড. সুবর্ণা খান ক্যান্সার সেলের ওপর পিএইচডি করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত। পুত্র আনিক রাশেদ খান আইনের ছাত্র।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন: চার ছেলেমেয়ের মধ্যে একজন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অন্য তিন ছেলেমেয়ে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাঁর মেজ ছেলে আইটি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রুহেল পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। পাশাপাশি জড়িত রয়েছেন রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক। বড় ছেলে সাবেদুর রহমান ও ছোট ছেলে আমিনুর রহমান পারিবারিক ব্যবসায় জড়িত। একমাত্র মেয়ে রিপা পেশায় একজন চিকিৎসক।
নুরুল ইসলাম বিএসসি: সাত সন্তানের কেউই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাঁর পাঁচ ছেলে সবাই বিদেশের উচ্চতর ডিগ্রিধারী। এরা হলেন, মুজিবর রহমান, সাইফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুল ইসলাম। তাঁরা সবাই পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। দুই মেয়ে শাকিলা জাহান ও ডা. মনোয়ারা জাহান মুন্নী।
হাসানুল হক ইনু: ছেলে প্রকৌশলী শমিত আশফাকুল হক। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক পাশ করেছেন তিনি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মাধ্যমে ক্রিকেটের মাঠে অতি পরিচিত মুখ নাফিসা কামাল। দেশব্যাপী নাফিসার পরিচিতি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কর্ণধার হিসেবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না: দুই ছেলে, নিলয় মান্না ও নীলম মান্না। লেখাপড়া করছেন কানাডায়। পাশাপাশি সেখানে কাজ করছেন তারা।
মির্জা আব্বাস: আফরোজা আব্বাস ও মির্জা আব্বাসের একমাত্র মেয়ে নাবিলা মির্জার (বর্ষা) পড়ালেখা করেছেন বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে। সেখানেই স্বামীসহ সেটেল্ড।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: একমাত্র পুত্র অমিতাভ রায় চৌধুরী আইন পেশায় জড়িত। তবে তার স্ত্রী নিপুন রায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।