নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২৫ মে, ২০১৯
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চান। এই সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে ৮ জনের একটি নামের তালিকা আগামী কাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনে অবশ্য বলা হচ্ছে,‘বিএনপি চেয়ারপরসনের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে তার সাক্ষাৎ প্রয়োজন।’ কিন্তু জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডন থেকে তারেক জিয়ার একের পর এক চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইতেই তারা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী। চিঠিতে সাক্ষাতে আগ্রহী যে ৮ জনের নাম দেওয়া হয়েছে তারা হলেন; ১. ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ২. ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ৩. নজরুল ইসলাম খান ৪. গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ৫. মির্জা আব্বাস, ৬. অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, ৭. সেলিমা রহমান এবং ৮. মেজর (অব: ) হাফিজ উদ্দিন।
জানা গেছে, তারেক জিয়ার ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘আত্মঘাতি’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিএনপির বেশ কিছু নেতা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করছেন। তারেকের সব সিদ্ধান্ত বিনা বাধায় মেনে না নেওয়ার ব্যাপারে তারা একমত পোষণ করেছেন বলেও জানা গেছে। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, সংসদে বিএনপির ৪ সংসদ সদস্যের শপথ নেয়ার পর থেকেই বিএনপিতে এই অস্থিরতা তৈরী হয়। এরপর যখন তারেক জিয়া উপ নির্বাচনে এবং সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন, তখন বিএনপিতে বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়া যা বলছেন, তা কোন রকম জোর আপত্তি ছাড়াই পালন করছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, তারেকের নির্দেশগুলো দলের জন্য ক্ষতিকর এবং আত্মঘাতি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি একটি হাস্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এরফলে, বিএনপির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়া গত ১১বছর লন্ডনে। বাংলাদেশের রাজনীতির সাম্প্রতিক গতি প্রকৃতি এবং পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি মোটেও ওয়াকিবহাল নন। দলের নেতাকর্মীদের মনোভাব সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। লন্ডনে বসে কিসের ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা একমাত্র তিনিই জানেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘বিএনপিতে সাম্প্রতিক সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে তা সঠিক না ভুল তা পরের ব্যাপার। কিন্তু কিভাবে সিদ্ধান্ত হচ্ছে সেটাই হলো আশ্চর্যের ব্যাপার। বিএনপির এমপিরা শপথ নিলো, দল কিছু জানে না।‘
বিএনপির অন্য একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, ‘ম্যাডাম সবার কথা শুনতেন, তারপর সিদ্ধান্ত দিতেন। সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু এখন সব সিদ্ধান্ত হচ্ছে ভূতুড়ে সিদ্ধান্ত।‘
জানা গেছে, বেগম জিয়ার কাছে গিয়ে এই আট নেতা তারেকের হাত থেকে বিএনপির মুক্তি চাইবেন। তাঁরা যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে দল পরিচালনার অনুমতি চাইবেন। সূত্রমতে, সংসদে যাওয়াসহ আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিএনপিতে এখন তারেক ভিলেনে পরিণত হয়েছেন। একারণেই ৮ নেতার এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।