নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ মে, ২০১৯
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সফল রাজনীতিবিদ। শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা রাজনীতির সঙ্গে উৎপোতভাবে জড়িত না থাকলেও তিনি বোনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। বঙ্গবন্ধুর দুই ছেলের মধ্যে শেখ কামাল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ১৫ আগস্ট নৃশংশভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রায় সবাইকে হত্যা করা হয়। অনেকেই ভেবেছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিবার অধ্যায়ের শেষ। কিন্তু তার কন্যা শেখ হাসিনা বাবার নাম উজ্জল করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক আরো কয়েকজন বাঙালি নেতা আছেন যাদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি। তাদের সন্তানদের খোঁজ আমরা কয়জন জানি? এমনই কয়েকজন নেতার সন্তানদের খোঁজ দেওয়া হলো:
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী
গণতন্ত্রের মানসপুত্রখ্যাত উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। যুক্ত পাকিস্তানের এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী ও নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক গুরু তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি দুই বিয়ে করেছেন। স্যার আবদুর রহিমের কন্যা নিয়াজ ফাতেমার সাথে বিয়ে হয় ১৯২০ সালে। নিয়াজ ফাতেমা ১৯২২ সালে ইন্তেকাল করেন। তার এক পুত্র ও এক কন্যা আকতার জাহান ও শাহাব সোহরাওয়ার্দী। শাহাব সোহরাওয়ার্দী ছাত্র থাকাকালে ১৯৪০ সালে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৮ বছর বিয়ে করেননি। ১৯৪০ সালে তিনি রাশিয়ান অভিনেত্রী ভেরা অ্যালেক্সান ড্রভনা টিসেস্কোকে বিয়ে করেন। ১৯৪৬ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ভেরা শিশুপুত্র রাশেদকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। ভেরা অ্যালেক্সান ড্রভনা টিসেস্কো ১৯৮৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ইচ্ছা ছিল পুত্র আইনে ডিগ্রি নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেবেন। পিতার বাসনা পূরণ হয়নি। রাশেদ সোহরাওয়ার্দী চার্টার হাউস অক্সফোর্ড এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রয়েল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে অভিনয় পেশায় যোগ দেন। তিনি রয়েল শেকসপিয়র কোম্পানিতে কয়েক বছর ছিলেন।
রাশেদ সোহরাওয়ার্দী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতা। তিনি ১৯৬৩ সালে ডক্টর হু, ১৯৯৮ সালে জিন্নাহ, ২০১৫ সালে লিজেন্ড চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। জিন্নাহ চলচ্চিত্রে তিনি নেহরুর ভূমিকায় অপূর্ব অভিনয় করেন। তিনি একজন বিশ্বখ্যাত লেখকও ছিলেন। লেখক হিসেবে তিনি রবার্ট অ্যাশবি নামে পরিচিত।
তবে রাশেদ অভিনয়কে প্রাধান্য দিয়ে যতটা পেরেছেন রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি পিতার গ্রেপ্তার, মুক্তি আন্দোলন দেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলন ৬ দফা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণার পর শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। আওয়ামী লীগের এ সংকটকালে দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া লন্ডন থেকে রাশেদ সোহরাওয়ার্দীকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পল্টন ময়দানে ৬ দফা ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের আসন শূন্য রেখে সভা চলছে। প্রধান অতিথি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পুত্র রাশেদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি ৬ দফা বাস্তবায়ন ও শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। তার ভাষণ ৬ দফা আন্দোলনকে বেগবান করে।
লন্ডন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন রাশেদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি এক বক্তৃতায় বলেছেন, I consider Sheikh Hasina & Sheikh Rehana as my own sisters. I request her, to remaining Prime Minister as long as she lives. তার এ ভাষণ সত্যিই প্রমাণিত। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে আছেন এবং চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। রাশেদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির জন্য নেতৃত্ব দেন। পিতার মতো তার মেধা ও দক্ষতাও ছিল। রাশেদ চৌধুরী এ বছর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯২৫ সালে প্রায় ৪০ বছর বয়সে বগুড়ার পাঁচবিবির জমিদার শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মেয়ে আলেমা খাতুনকে বিবাহ করেন। তখন আলেমা খাতুনের বয়স ছিল ১৮-১৯ বছর। আলেমা খাতুনের গর্ভে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম ছেলে আজিজুল হক শৈশবেই মারা যান। অন্যান্যরা হলেন- রেজিয়া খানম, আবু নাসের খান, গোলাম কিবরিয়া এবং মাহমুদা খানম।
এরপর রাজনৈতিক প্রয়োজনে মওলানা ভাসানী আরও দু’বার বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের দীঘুলিয়া গ্রামের আবদুর রহমান মীরের মেয়ে আকলিমা খাতুনকে। বিয়ের ৬ মাস পরে আকলিমা খাতুন মারা যান। এরপর বিয়ে করেন বগুড়ার আদমদীঘি থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের কাসিমউদ্দিন সরকারের মেয়ে হামিদা খাতুনকে। এ সময় হামিদা খাতুনের বয়স ছিল ১২ বছর। তার গর্ভে ১ ছেলে ও ২ মেয়ে- আবু বকর, আনোয়ারা খানম এবং মনোয়ারা খানম জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বর মাসে হামিদা খাতুন মারা যান।
তার ছেলে আবু নাসের খান ভাসানী ছিলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী। রাজনীতিতে তিনি তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ভাসানীর তিন ছেলেই মারা গেছেন। চার মেয়ে বেঁচে থাকলেও তারা কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেই। ভাসানীর স্ত্রী আমেনা ভাসানী ন্যাপের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনিও মারা গেছেন। মওলানা ভাসানীর মেয়ের জামাই চৌধুরী মোতাহের হোসেন ছিলেন জিয়াউর রহমান সরকারে বিএনপি দলীয় এমপি।
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক
এ. কে. ফজলুক হক এম.এ. পাশ করার পর দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেন। এ সময় নবাব আবদুল লতিফ সি. আই. ই-এর নাতনি খুরশিদ তালাত বেগমের সাথে তার বিয়ে হয়। খুরশিদ তালাত বেগম দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। খুরশিদ তালাত বেগমের অকাল মৃত্যুর পর তিনি হুগলী জেলার অধিবাসী এবং কলকাতা অবস্থানকারী ইবনে আহমদের কন্যা জিনাতুন্নেসা বেগমকে বিয়ে করেন। কিন্তু, জিনাতুন্নেসাও নিঃসন্তান অবস্থায় পরলোক গমন করেন এবং ১৯৪৩ সালে এ. কে. ফজলুক হক মীরাটের খাদিজাকে বিয়ে করেন।
তাদের ছেলে ফায়জুল হক ছিলেন জিয়া সরকারের বিএনপি দলীয় এমপি। পরে তিনি জাতীয় পার্টির টিকিটে এরশাদ সরকারের ও আওয়ামী লীগের টিকিটে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তার বড় ছেলে একে ফাইয়াজুল হক রাজু আওয়ামী লীগ নেতা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানাড়ীপাড়া) আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ফাইয়াজুল হক রাজু আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। তবে তার মেয়ের জামাই আখতারুল আলম ফারুক ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি নেতা।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।