নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৬ মে, ২০১৯
চ্যানেল আইয়ের বার্তা পরিচালক শাইখ সিরাজ জিয়াউর রহমানকে ‘কৃষক পিতা’ উপাধি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত সুপারিশের বিস্তারিত পাওয়া গেছে। ১৯৯৫ সালের ২৬ মে তৎকালীন মাটি ও মানুষের উপস্থাপক শাইখ সিরাজ এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ঐ বছর এই প্রস্তাব দেওয়ার বিনিময়ে শাইখ সিরাজ ‘রাষ্ট্রপতি কৃষি পদক’ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। বর্তমানে এই পদকের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ রাখা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নথিতে দেখা যায়, শাইখ সিরাজ ২৬ মে ১৯৯৫ সালে রাষ্ট্রপতি কৃষি পদক প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। আবেদনে তিনি ‘মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কীভাবে কৃষিক্ষেত্রে অবদান রাখছেন তার ফিরিস্তি দেন। আবেদনে তিনি নিজেকে ‘জিয়া সৈনিক’ বলে উল্লেখ করেন। আবেদনে খাল কাটাসহ জিয়ার উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি দিয়ে শাইখ সিরাজ লিখেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কৃষি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাকে কৃষক পিতা উপাধি দেয়া উচিত।’ শাইখ সিরাজের এই আবেদনে সুপারিশ করেন তৎকালীন মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে মৎস্য ও প্রানী সম্পদ) আবদুল্লাহ আল নোমান। মন্ত্রী সুপারিশ বলেন ‘শাইখ সিরাজ জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ একজন ব্যক্তি। তার মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানটি কৃষি ক্ষেত্রে গুরেুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।’ আবেদনটি কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্বাভাবিক ক্যাটাগরিতে নথিযুক্ত হয়। কিন্তু তৎকালীন যুগ্নসচিব (প্রশাসন) এই আবেদনটি অগ্রহণযোগ্য বলে নাকচ করার সুপারিশ করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব আবদুর রাজ্জাক নথিতে বলেন,‘রাষ্ট্রপতির কৃষি পদক পাবার যোগ্যতার তালিকায় বলা হয়েছে কৃষিতে সরাসরি অবদান রাখা কৃষক এবং গবেষকরা এই পুরস্কার প্রাপ্তির যোগ্য। আলোচ্য আবেদনকারী দুটির একটি শর্তও পূরণ করেন না বিধায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া সমীচিন নয়।’ এই সুপারিশ সচিব পর্যন্ত পৌছে। সচিব তাকে বিবেচনায় না নেয়ার সুপারিশ করে চুড়ান্ত তালিকা মন্ত্রীর দপ্তরে অনুমোদনের জণ্য পাঠান। তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মেজর জেনারেল( অব: ) মজিদ উল হক, শাইখ সিরাজের নাম বাদ দিয়ে প্রস্তাবিত পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকার সামারী প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেন। এই সময় ৩০ মে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শাইখ সিরাজ উপস্থাপিত উপস্থাপিত মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান হয় ‘কৃষকের বন্ধু জিয়া’ শিরোনামে। ওই অনুষ্ঠানে শাইখ সিরাজ আবার জিয়াকে কৃষকের পিতা উল্লেখ করেন। এরপর বদলে যায় দৃশ্যপট। পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের সুপারিশ সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফাইল (ইবি/৩৪/পুরস্কার/৯/৯১) প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর ছাড়া ফেরত আসে। উপরে নোটসীটে শাইখ সিরাজের নাম উল্লেখ করে পুনরায় ফাইল প্রেরণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব। এরপর মন্ত্রণালয় আবার শাইখ সিরাজের নামযুক্ত করে। এভাবেই ১৯৯৫ সালে রাষ্ট্রপতির কৃষি পদক হাতিয়ে নিয়েছিলেন শাইখ সিরাজ। প্রায় একই কায়দায় গত বছর স্বাধীনতা পদক ও ছিনতাই করেন তিনি। পার্থক্য হলো, সে সময় তিনি ‘জিয়া সৈনিক’ হয়ে ঐ পুরস্কার বাগিয়েছিলেন, আর এখন ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ হিসেবে রাজাকার পুত্র হয়েও হাতিয়ে নিয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।